একজন নারী ক্রিকেটারের কান্না!

প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ০৪:১২ পিএম

চামেলী খাতুন, এক সময়ের মাঠ কাঁপানো প্রমীলা ক্রিকেটার। ১৯৯৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত এই চামেলীই দাপটের সাথে নিজের নৈপূণ্যতা দেখিয়েছেন জাতীয় পর্যায়ের অ্যাথলেটিক্স, ফুটবল এবং প্রমীলা ক্রিকেটে। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাসে সেই প্লেয়ারই এখন অসুস্থ হয়ে দিন কাটাচ্ছেন কোনো মতে।

কেন সবাই তাকে ভুলে গেল, সে এক বড় প্রশ্ন। রাজশাহীর এই কৃতি সন্তান জাতীয় পর্যায়ের ক্রিকেটে যে অবদান রেখেছেন, তাতে করে মানবিক আবেদন থেকে হলেও তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন আগে। ২০১১তে জাতীয় প্রমীলা ক্রিকেট দলের হয়ে খেলা অলরাউন্ডার চামেলীর পরিবারকে বাঁচাতে হলে আগে তাকে সুস্থ্য করতে হবে।

রাজশাহী নগরীর দরগা পাড়া এলাকায় “ক্রিকেটার চামেলী খাতুনের” নাম বললেই যে কেউ চিনিয়ে দেবে তার পৈতৃক বাড়িটি। দুই জানালা এক দরজার জরাজীর্ণ ছোট্ট একটি ঘরই এখন চামেলীর পরিবারের ঠিকানা।

কারন আট বছর থেকে লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়া সহ মেরুদন্ডে হাড়ের ব্যথা নিয়ে চলতে চলতে বর্তমানে মূমুর্ষ অবস্থায় পৌছেঁছেন তিনি। মেরুদন্ডে দুই হাড়ের ফাঁকে থাকা নরম ডিস্ক গুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অবস হয়ে যাচ্ছে তার পুরো ডান পাশ। এই অবস্থায় অতি দ্রুত দেশের বাইরে সার্জারির পরামর্শ চিকিৎসকের। যাতে প্রয়োজন অন্তত ১০ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সহ সমাজের সকলের কাছে তার চিকিৎসার জন্য তিনি সাহায্য চেয়েছেন।

বিসিবির কর্মকর্তারা যদি বিষয়টি বিবেচনায় নেন, তাহলে চামেলীকে হয়তো আবারও সুস্থ জীবনে ফিরে পাওয়া সম্ভব। এর বাইরে সরকারের পক্ষ থেকেও তার চিকিৎসার বিষয়টি আমলে নেয়ার সুযোগ আছে। কথায় আছে, গুণী মানুষের কদর যে দেশ করতে পারেনা, সেখানে আর গুণী জন্মায়না। আমরা চাইনা, কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এই কৃতী ক্রিকেটারের অমূল্য জীবন নিভে যাক।

বিডি২৪লাইভ/এএআই

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: