ডা. জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০১৮, ১০:২১ পিএম

আশুলিয়ায় গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লা চৌধুরী ও গণস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী জমির মালিক পক্ষ। মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় আশুলিয়া প্রেসক্লাবের হল রুমে এ সংবাদ সম্মেলনটি করেন। 

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দি কটন টেক্সটাইল ক্র্যাফটস লিঃ এর নির্বাহী পরিচালক শাকেরুল কবির। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণস্বাস্থ্যের নামে আমাদের কারাখানার বৈধ সম্পত্তি দখলে রাখেন। ১৯৭২ সালে সরকারের নিকট থেকে দি কটন টেক্সটাইল ক্র্যাফটস লিঃ কর্তৃপক্ষ ক্রয় করে মালিক হন। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে আমাদের ৪ একর জমি দখল করেন। 

বিভিন্ন সময় এ বিষয়ে গণস্বাস্থ্যের ভাড়াটিয়া লোকজন এসে আমাদের উপর হামলা করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। জমি বেদখলের বিষয়ে ২০০৭ সালে ঢাকার দ্বিতীয় বিজ্ঞ মহানগর দায়রা জজ আদালত আমাদের পক্ষে রায় প্রদান করেছে। আদালতের রায় থাকা সত্ত্বেও গণস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বিএনপি সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাদের জমি দখল করে রাখে। 

তিনি আরো বলেন, জমির মালিকানার জন্য যত ধরনের রেকর্ড থাকা দরকার আমাদের সবই রয়েছে। সিএস. এসএ. আরএস ও সর্বশেষ বিএস জড়িপেও আমাদের নামে রেকর্ড রয়েছে। 

ভুক্তভোগী নাসির উদ্দিন বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে জমির খাজনা দিচ্ছি আমি, আর দখলে রেখেছে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র। 

তিনি আরো বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মানুষরূপাী জানোয়ার। প্রায় শতাধিক পরিবারের জমি দখল করেছে ডা. জাফরুল্লাহ ও তার লোকজন।
আদালতের রায় নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা না করে নিজেরাই লোকজন নিয়ে ভাঙচুর সহ দখলে নেয়। 

এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নাসির উদ্দিন বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে আমরা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও গণস্বাস্থ্যের লোকজনের নিকট জিম্মি ছিলাম। তৎকালীন সময়ে থানা পুলিশও আমাদের কোন কথা শুনেনি। গণস্বাস্থ্যের পিএইচএ ভবনটিতে কেন ছাত্রী ছিলো? এটাতো ছাত্রী নিবাস না। আমাদের জমি দখলে রাখতে শিক্ষার্থীদের দিয়ে ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার জন্য এই কাজ করেছে। 

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও গণস্বাস্থ্যের কতিপয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় ৫টি মামলা দায়ের করা হয়। উক্ত মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আসামিরা জামিন লাভ করেন। 

পরবর্তীতে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং তাদের জমি দাবির পক্ষে বেশকিছু কাগজপত্র উপস্থাপন করেন। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, দি কটন টেক্সটাইল ক্রাফটস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক শাকেরুল কবির, আমিনুল ইসলামের পক্ষে অ্যাড ভোকেট আমীর হোসেন চৌধুরী, মো. নাসির উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী ও ওয়ারেন্ট অফিসার আমজাদ হোসেন।

বিডি২৪লাইভ/এমকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: