১০০ জনকে খুন করেছেন তিনি!

প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০১৮, ১২:২৯ এএম

নাম নিলস হ্যোগেল। বর্তমান বয়স ৪১। পেশায় নার্স ছিলেন। দুজন রোগীকে হত্যার দায়ে আজীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন। এরমধ্যে মঙ্গলবার আরো ১০০ জন রোগীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি।

২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০০৫ সালের জুন পর্যন্ত অল্ডেনবুর্গ ও ডেলমেনহোর্স্ট শহরের দুটি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন হ্যোগেল।

প্রাণ যাওয়া রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে কমবয়সি রোগীর বয়স ছিল ৩৪, আর সবচেয়ে বেশি বয়সের রোগীর বয়স ছিল ৯৬। ডিডব্লিউ।

কৌঁসুলিরা বলছেন, ঊর্ধ্বতনদের কাছে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে কিংবা একঘেয়েমি থেকে মুক্তি পেতে হ্যোগেল রোগীদের শরীরে ওষুধ প্রয়োগ করতেন। এক্ষেত্রে তিনি এলোমেলোভাবে রোগী বাছাই করতেন এবং তারপর তাঁদের শরীরে এমন ওষুধ প্রবেশ করাতেন যার প্রভাবে সেই রোগী হার্ট অ্যাটাকসহ অন্যান্য জটিলতায় ভোগা শুরু করেন। তারপর হ্যোগেল এই রোগীদের সারিয়ে তুলে সহকর্মী কিংবা ঊর্ধ্বতনদের সামনে নিজের দক্ষতা দেখাতে চাইতেন।

২০০৫ সালে ডেলমেনহোর্স্ট শহরের হাসপাতালে এক রোগীর সঙ্গে এমন কাজ করার সময় অপর এক নার্সের কাছে ধরা পড়েন হ্যোগেল। এরপর তদন্তকারীরা সন্দেহজনক প্রায় ২০০টি মামলার তদন্ত করেছেন। তদন্তের প্রয়োজনে ১৩০টি লাশ কবর থেকে তোলা হয়েছে।

২০১৫ সালে দুজন রোগীকে হত্যার দায়ে হ্যোগেলকে আজীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। তবে পরবর্তীতে তদন্তকারীরা জানতে পারেন যে, হ্যোগেলের অপরাধের শিকার মাত্র দুজন নন, আরো অনেক বেশি।

মঙ্গলবার অল্ডেনবুর্গ শহরের আদালতে বিচারক ১০০ জন রোগী হত্যার সঙ্গে তিনি জড়িত কিনা জানতে চাইলে হ্যোগেল বলেন, ‘হ্যাঁ'।

আগামী বছরের মে পর্যন্ত এই মামলার শুনানি চলতে পারে। যুদ্ধপরবর্তী জার্মানির ইতিহাসে অন্যতম ভয়ংকর খুনি পুরুষ নার্স হিসাবে বিবেচিত হচ্ছেন হ্যোগেল।


বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: