ভবনে ঢোকা সঙ্গে সঙ্গেই হত্যা করা হয় খাশোগিকে

প্রকাশিত: ০১ নভেম্বর ২০১৮, ১২:০৮ এএম

সাংবাদিক জামাল খাশোগি ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ কেটে টুকরো টুকরো করে সরিয়ে ফেলা হয়। পুরো হত্যাকাণ্ড ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। তুরস্কের পক্ষে এই প্রথমবারের মতো বুধবার (৩১ অক্টোবর) খাশোগি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত প্রকাশ করা হলো।

সৌদি আরবের প্রধান কৌঁসুলি শেখ সৌদ আল-মোজেব ইস্তাম্বুল ছাড়ার কয়েক ঘণ্টা পর এসব কথা প্রকাশ করলেন তুর্কি প্রধান কৌঁসুলি ইরফান ফিদান। খাশোগি হত্যার বিষয়ে কথা বলতেই তুরস্ক গিয়েছিলেন সৌদি প্রধান কৌঁসুলি।

এরই মধ্যে খাশোগির মরদেহের অংশ বিশেষ পাওয়া গেছে। তুরস্কে নিযুক্ত সৌদি কনসাল জেনারেলের বাসভবনের বাগানে তার লাশের একটি অংশ পাওয়া যায় বলে ২৩ অক্টোবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম স্কাই নিউজসহ বেশ কিছু আন্তজার্তির গণমাধ্যম।

এএফপির খবরে বলা হয়, তুর্কি কৌঁসুলি ইরফান ফিদানের কার্যালয় থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের প্রধান কৌঁসুলি সঙ্গে তুর্কি কর্মকর্তাদের আলোচনায় ‘সুনির্দিষ্ট কোনো ফল’ না আসায় খাশোগি হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত প্রকাশ করা ‘আবশ্যকীয়’ হয়ে পড়েছে। তাই এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রকাশ করা হলো।

বিবৃতিতে বলা হয়, খাশোগি কনস্যুলেট ভবনে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।

কিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলে হয়েছে, খাশোগির কাটা আঙুল সৌদি যুবরাজ সালমানের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছিল। রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ‘যুবরাজ সালমান সব সময়ই বলে থাকেন, যেসব লেখক তাঁর সমালোচনা করবেন, তাঁদের আঙুল তিনি কেটে ফেলবেন। সাংবাদিক জামাল খাশোগির সঙ্গে এমনটাই ঘটেছে বলে ধারণা করা যায়।’

তবে খাশোগির কাটা আঙুল সালমানের কাছে উপস্থাপনের পর তা কোথায় রাখা হয়েছে, তা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়নি।

সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সৌদি কর্তৃপক্ষ ১৯ অক্টোবর স্বীকারোক্তি দেয়। তারা দাবি করে, গোয়েন্দা স্কোয়াডের সদস্যদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তিনি নিহত হন। সৌদি আরব বলছে, কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ছাড়াই ১৫ সদস্যের গোয়েন্দা স্কোয়াড নীতিবর্জিত অবস্থান থেকে খাশোগিকে খুন করেছেন।

ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবেইর দাবি করেছেন, ওই গোয়েন্দা সদস্যরা ‘ভুলবশত’ খাশোগিকে খুন করার পাশাপাশি ঘটনাটি আড়াল করতে চেয়েছেন।

হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ নাকচ করে দেন তিনি।

খাশোগিকে হত্যার ঘটনায় দেশটি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে জার্মানি। জামাল খাশোগি হত্যাকার বিষয়টি পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত সৌদিকে আর কোনো অস্ত্র দেবে না দেশটি। ২১ অক্টোবর এ ঘোষণা দিয়েছে দেশটির চ্যান্সেলর।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: