কারা আদালতে খালেদা জিয়া

প্রকাশিত: ০৮ নভেম্বর ২০১৮, ১২:১১ পিএম

রাজধানীর শাহবাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকা কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে হাজির করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) বেলা ১১.৪৫ মিনিটে তাকে আদালত হাজির করা হয়।

এর আগে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে তাকে হাসপাতাল থেকে বের করে কালো রঙের একটি গাড়িতে করে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বের করা হয়। তাকে বহনকারী কালো প্রাইভেটকারটি ১১টা ৩৫ মিনিটের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেন। হাসপাতাল থেকে শাহবাগ মোড়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বকশিবাজার হয়ে তাকে কারাগারে নেয়া হয়।

তবে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের আদালতে শুনানির পর তাকে কারাগারে পাঠানো হবে কিনা সে বিষয়ে কিছু জানা সম্ভব হয়নি। যদিও খালেদা জিয়ার ব্যবহৃত জিনিসপত্র পিকআপ ভ্যানে নেয়া হয়েছে।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য থাকায় পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারের অস্থায়ী আদালতে নেয়া হয়।

গত ১১ অক্টোবর রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক মাহমুদুল হাসান নাইকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ৮ই নভেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন। 

কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি সাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ৯ই ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করেন। 

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছর সাজা হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। এরপর গত ৬ অক্টোবর চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ লক্ষ্যে ৫ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। ওই হাসপাতালের ছয়তলার ৬১২ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন অবস্থান আছেন খালেদা জিয়া।

এক মাসের বেশি সময় চিকিৎসা দেয়া হল বিএনপি চেয়ারপারসনকে। তবে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

বিএনপির অভিযোগ, খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউতে যে ফিজিওথেরাপি দেয়া হয়, সেটিও পর্যাপ্ত নয়। তাকে অনুন্নত চিকিৎসা সরঞ্জামাদি দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে বাধ্য করা হচ্ছে। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। অথচ এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ছিল।

বিডি২৪লাইভ/এএইচ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: