বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া, তিনটি বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত?

প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০১৮, ০৭:১১ পিএম

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা না করা নিয়ে বাংলাদেশের বিরোধীদল বিএনপির নেতারা আজ নিজেদের মধ্যে এবং তাদের মিত্র ও শরিক দলগুলোর সাথে কয়েকটি বৈঠক করতে যাচ্ছেন। আজকের এ বৈঠকগুলোর পরই আগামী ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচন প্রশ্নে বিএনপির সিদ্ধান্তের কথা জানা যাবে। এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির একটি বৈঠক হতে যাচ্ছে। এর পর বিএনপি যে দুটি জোটে আছে তার শরিকদের সাথেও বৈঠক করবে। প্রথমে হবে জামায়াতে ইসলামীসহ ২০ দলীয় জোটের শরিকদের সাথে একটি বৈঠক, এবং দিনের শেষ বৈঠকটি হবে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন বিরোধীদলীয় জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সাথে।

এ বিষয়ে বিবিসি বাংলাকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে.(অব) মাহবুবুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা আমাদের ৭-দফা দাবি অনুযায়ী নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই, এবং সে জন্য দাবি করেছিলাম যে তফসিল ঘোষণা পিছিয়ে দেয়া হোক।’

তিনি বলেন, ‘কিন্তু যেহেতু তফসিল ঘোষিত হয়ে গেছে, এবং ১৯ নভেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে, তাই এই পরিস্থিতিটাও আজকের মিটিংএ আলোচনায় আসবে বলে আমি মনে করি।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হয়ে যাওয়ায় বিএনপি-সহ বিরোধী দলগুলোর জোট তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে একটা দোটানায় পড়েছে। তফসিল ঘোষণার পর বিএনপিসহ বিশ দলীয় জোটের নেতারা এর মধ্যেই একটি বৈঠক করেছেন কিন্তু তা কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়।

বিএনপি ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল। তবে এবারের নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা নিয়ে দলটির নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের সাথে বিভিন্ন সময় বিবিসির সংবাদদাতাদের যে কথা হয়েছে, তাতে তাদের মধ্যে দু-ধরনের মনোভাব কাজ করছে বলে প্রতীয়মান হয়। বর্তমান সংসদের মেয়াদ রয়েছে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। সংবিধান অনুযায়ী সরকার সংসদ বহাল রেখে এই মেয়াদের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে চেয়েছে।

তবে বিরোধী রাজনৈতিক জোট, অর্থাৎ বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সংসদ ভেঙে দিয়ে মেয়াদ পূর্তির পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। সেজন্য তারা তফসিল পিছানোরও দাবি করেছিল। কিন্তু তাদের দাবি না মেনে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেন।

এদিকে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখন দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাদন্ড ভোগ করছেন। খালেদা জিয়ার ছেলে এবং দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও একাধিক মামলায় দন্ডিত এবং গত প্রায় এক দশক ধরে তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন।

বিডি২৪লাইভ/এএইচ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: