১১ বছরেও জোটেনি সরকারি সহায়তা
আঁধার ঘর আলোকিত করেযখন প্রিয় সন্তান ভূমিষ্ঠ হয় তখন পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনের মাঝে নেমে আসে আনন্দ উচ্ছাস। কিন্তু, প্রিয় সন্তানটি যদি প্রতিবন্ধী হয় তখন পিতা-মাতার চোখে নেমে আসে চরম হতাশা। সন্তানকে কিভাবে মানুষ করবেন তা নিয়ে ও পরেন দুশ্চিন্তায়।
সেই প্রতিবন্ধী সন্তানটিকে আলোকিত মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে এগিয়ে এসেছেন স্থানীয় কিছু সমাজসেবী, জনপ্রতিনিধি ও তরুণ উদ্যোক্তা। তাদের প্রচেষ্টায় বগুড়া শেরপুর উপজেলার ঘোষ পাড়ায় ২০০৭ সালে গড়ে তোলা হয়েছে ‘কাদের সুফিয়া অটিজম ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়’। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা বিদ্যালয়টি আলো ছড়িয়ে চললেও তাদের ভাগ্যে জোটেনি সরকারিভাবে কোন সুযোগ-সুবিধা।
বিদ্যালয়টিতে প্রতিদিন ৪০-৫০ জন শিশু পড়া-লেখার পাশাপাশি নাচ, গান, কবিতা ও আবৃত্তিসহ খেলাধুলায় অংশ নিচ্ছে। ফলে দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। উপজেলায় একটি মাত্র গড়ে উঠা এ বিদ্যালয়টি উপজেলার অন্যান্য বিদ্যালয়ের চেয়ে আলাদা। এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় পরিচালিত বিদ্যালয়টিতে বিনা বেতনে কাজ করছেন শিক্ষক ও কর্মচারিসহ ১৪ জন।
স্থানীয় সাংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান জেলা-উপজেলার সরকারী কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ইতোমধ্যে বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে প্রশংসা করেছেন। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ১৫০ জন শিক্ষার্থী লেখপড়া ও খেলাধূলার সুযোগ পাচ্ছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টিতে কেউ হাটতে পারে, কারো হাত-পা বাকা। কেউ পড়ছে, কেউ খেলাধূলা ও নানা ভঙ্গীতে অভিনয় করছে, এ যেন এক বিচিত্র রুপ।
এক প্রতিবন্ধী সন্তানকে নিয়ে আসা তার মা মুনিরা বলেন, বাড়িতে প্রতিবন্ধী শিশু সন্তানদের নিয়ে সব সময় টেনশন হয় কখন কি করে বসে। এখন বিদ্যালয়ে নিয়ে আসায় টেনশন কিছুটা কমেছে কারণ তারাও কিছু শিখছে, আগের চেয়ে তাদের আচার-আচরণ অনেকটা পাল্টে গেছে।
বিদ্যালয়ের জমিদাতা উম্মে সুফিরা বলেন, আমি এলাকার অবহেলিত প্রতিবন্ধী শিশুদের কথা ভেবে জমি দান করেছি। আমার মতো এলাকার অনেক লোক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু আমাদের সকলের দাবি দ্রুত বিদ্যালয়টি সরকারিকরন সহ শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদ করিম বলেন, বিনা বেতনে প্রতিদিন সমাজে অবহেলিত এসব শিশুদের পাঠদান করছি ফলে অন্য শিক্ষকদের এবং নিজের সংসারের অভাব অনটন লেগেই আছে তবুও অনেক ত্যাগ স্বীকার করে প্রতিবন্ধী এসব শিশুদের আলোর পথ দেখাচ্ছি।
উপজেল সমাজসেবা কর্মকর্ত মো: ওবাইদুল হক বলেন, বিদ্যালয়টি অনেক সুন্দর বিদ্যালয়টি যাতে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পায় তার জন্যি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বিডি২৪লাইভ/টিএএফ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: