‘সত্য বলায় সিনহাকে জোর করে বের করে দেয়া হয়েছে’ 

প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ০৩:৪৬ পিএম

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সত্য কথা বলায়, সত্য রায় দেয়ায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে দেশ থেকে জোর করে বের করে দেয়া হয়েছে। তিনি আজ বিদেশে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন।’

শনিবার (১৭ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত আইনজীবীদের মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

এস কে সিনহাকে স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলতে চাই, দেশের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা এই বন্ধাত্বের যুগে, যখন কেউ কোন প্রতিবাদ করে না, সত্য বলে না, তখন এই মানুষটি দাঁড়িয়েছিলেন, প্রতিবাদ করেছিলেন। তিনি সত্য রায় দিয়েছিলেন, সত্য বলেছিলেন। এজন্য সরকার তাকে জোরজবরদস্তি করে দেশ থেকে বের করে দিয়েছে।’

বিচারপতি সিনহার কথা সবার স্মরণ করা উচিত জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি আশা করেছিলাম আপনারা আজ তাকে স্মরণ করবেন। কিন্তু কেউ সেটি করলেন না। আমাদের সবার উচিত তাকে গভীর শ্রদ্ধা জানানো এবং তিনি যে কথাগুলো উচ্চারণ করে গেছেন সেগুলো বারবার বলা উচিত।’

এসময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা তাদের বক্তব্যে বিচারপতি সিনহার কথা উল্লেখ না করায় মর্মাহত হয়েছেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য সব আইনজীবীদের আন্দোলন নামতে হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত না হলে মানুষ আইনের শাসন থেকে বঞ্চিত হবে।’

সুপ্রিম কোর্ট বার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হওয়া মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক জয়নুল আবেদীন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ শাহজাহান ওমর, চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, এবং খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া প্রমুখ।

বিডি২৪লাইভ/এএইচ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: