স্পিনারদের তোপে নাটকীয় জয় ইংল্যান্ডের

এই টেস্টে অনুমিতভাবেই এগিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। চতুর্থ দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল তারা। জয়ের বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারতে শেষ দিনে এক ঘণ্টাও লাগল না। দুই স্পিনার জ্যাক লিচ ও মঈন আলীর দারুণ বোলিংয়ে পাল্লেকেলে টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে ৫৭ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতেছে জো রুটের দল।

বহুদিন পর ইতিহাস রচনা করল ইংলিশরা। ১৭ বছর পর শ্রীলঙ্কার মাটিতে কোনো টেস্ট সিরিজ জিতল ইংল্যান্ড। এর আগে সবশেষ তারা শ্রীলঙ্কায় সিরিজ জিতেছিল ২০০১ সালের শুরুতে। এ ছাড়া ২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর পর এই প্রথম দেশের বাইরে সিরিজ জিতল ইংলিশরা। আর রুটের অধীনে দেশের বাইরে তাদের প্রথম সিরিজ জয়।

ম্যাচে ছিল স্বাগতিকরাও। ৩০১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শেষ দিনে জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার দরকার ছিল ৭৫ রান। আর ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৩ উইকেট। শ্রীলঙ্কার আশা কিছুটা জিইয়ে রেখেছিলেন ২৭ রান নিয়ে দিন শুরু করা নিরোশান ডিকভেলা। তবে ৩৫ রান করে তিনি দিনের ষষ্ঠ ওভারে অফ স্পিনার মঈনের বলে প্রথম স্লিপে বেন স্টোকসকে ক্যাচ দিয়ে ফিরতেই ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায় লঙ্কানরা।

মঈনের এক বল পর বোল্ড হয়ে ফেরেন এই টেস্টের শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক সুরঙ্গা লাকমালও। আর দুই ওভার পর নিজের বলে নিজেই মিলিন্ডা পুষ্পকুমারার ক্যাচ নিয়ে ২৪৩ রানে স্বাগতিকদের ইনিংস গুটিয়ে দেন লিচ। এদিন স্কোরবোর্ডে ১৭ রান যোগ করতেই শেষ ৩ উইকেট হারিয়েছে লঙ্কানরা। অথচ চতুর্থ দিনে এক পর্যায়ে জয়ের পাল্লা ভারী ছিল শ্রীলঙ্কার দিকেই। চা বিরতির সময় জয় থেকে ৮২ রান দূরে ছিল শ্রীলঙ্কা, হাতে ৫ উইকেট। তখন ৮৭ রানে ব্যাট করছিলেন অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস।

এরপরই নাটকীয় পরিবর্তন। চা বিরতির পর ২০ বলের মধ্যেই পাল্টে যায় চিত্র। বিরতির পর মঈনের তৃতীয় বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ম্যাথুস। খানিক বাদে লিচের বলে এলবিডব্লিউ দিলরুয়ান পেরেরাও। শেষ ইনিংসে ৮৩ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন লিচ। বাঁহাতি এই স্পিনার তিন টেস্টের ক্যারিয়ারে এই প্রথম পাঁচ উইকেট পেলেন। অফ স্পিনার মঈন ৭২ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। অন্য উইকেটটা লেগ স্পিনার আদিল রশিদের।

বিডি২৪লাইভ/এএআই