সেই হেলমেটধারীদের নিয়ে যা বলছে পুলিশ

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০১৮, ০৬:৪৯ পিএম

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থী আন্দোলনের সময় সাংবাদিকদের ওপর হেলমেটধারী হামলাকারীরা এখনো ধরা পড়েনি। অথচ মাত্র সাতদিনের মধ্যে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের ওপর হামলাকারী হেলমেটধারীদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের  কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলামকে তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছি।

বেসরকারি টেলিভিশনের একজন সাংবাদিক  এমন প্রশ্ন করেন, ৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলার হেলমেট পড়ে যারা হামলা করেছিল, তাদের কেন এখনো গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না?

সিটিটিসি প্রধানকে উদ্দেশ্য ওই সাংবাদিক বলেন, যারা হেলমেট পড়ে মুখ ঢেকে নাশকতা করেছে তাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের সক্ষমতা দেখানোর জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। তবে চলতি বছর ৫ আগস্ট একই ঘটনা ঘটেছিল, যেখানে সাংবাদিকদের হেলমেট পড়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে কয়েকজন যুবক। তারা এখনো ঢাকা কলেজে রাজনীতি করছে। তাদের কেন ধরা হচ্ছে না? নাকি পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে দেখে তাদের ধরা হয়েছে, সাংবাদিকদের ওপর হামলা হয়েছে বলে পুলিশ আগ্রহ দেখাচ্ছে না?

জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা (পুলিশ) ফৌজদারি অপরাধকে অপরাধ হিসেবেই দেখি। এ ঘটনার তদন্ত চলছে, দোষীদের গ্রেপ্তার করা হবে।

হামলায় বার্তা সংস্থা এপির ফটোসাংবাদিক এএম আহাদ, জনকণ্ঠের জাওয়াদ, বণিক বার্তার পলাশ, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আহমেদ দীপ্তসহ বেশ কয়েকজন আহন হন।

এ ঘটনার পর থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে কোন মামলা না নেয়া হলেও বিষয়টি নিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আহত সাংবাদিকদের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা করেন।

চলতি বছরের ৫ আগস্ট নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় রাজধানীর সিটি কলেজের সামনে হেলমেট ও মুখে কাপড় বেঁধে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায় ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য।

দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহের মধ্যেই গত বুধবার ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানসহ দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেয়া হয়।

সেই ঘটনায় পুলিশ এক সপ্তাহের মধ্যে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: