‘নৌকার হালধরেই জনগনের পাশে থাকতে চাই’

প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০১৮, ০৪:৫৭ পিএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ- তাড়াশও সলঙ্গা) আসনে মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বর্তমান সংসদ সদস্য গাজী ম.ম. আমজাদ হোসেন মিলন। প্রচারণার শীর্ষে রয়েছেন তিনি। দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়মিত মতবিনিময়, উঠান বৈঠকসহ নানা কর্মসূচী নিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। নির্বাচনী প্রচারনার তীর্বগতি বাড়িয়েছে বর্তমান সংসদ। সেই সাথে সাধারন ভোটারদের মাঝেও নৌকার গনজোয়ার সৃষ্টি করেছেন তিনি।

জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ২টি উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়নের কাজে হাত দেন সাংসদ মিলন। এর মধ্যে রয়েছে তাড়াশ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণ, ফায়ার সার্ভিস সেন্টার ভবণ নির্মাণ, ৪ তলা বিশিষ্ট তাড়াশ থানা ভবণ নির্মাণ, তাড়াশে পল্লীবিদ্যুতের ডিজিএম এর অফিস স্থাপন, আবহাওয়া অফিস, উপজেলা কমপ্লেক্স, অডিটোরিয়াম, তাড়াশ এবং রায়গঞ্জ উপজেলায় ২টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, চলনবিলের মাঝে তাড়াশ হতে নাদোসৈয়দপুর ৮.৫ কিঃকিঃ নতুন রাস্তা নির্মাণ সহ এলাকার রাস্থা ঘাট, স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান ও শশ্মানে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে এবং  ১১ নভেম্বর ৭১ যুদ্ধের স্থান তাড়াশের নওগাঁতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দয়া পরবশ হয়ে ৫৮ লক্ষ টাকা ব্যায়ে স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করে দিয়েছেন। রায়গঞ্জ উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস সেন্টার ভবন নির্মান, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল উন্নতিকরণ, ব্রম্মগাছা ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল স্থাপনের অনুমোদন, পৌরভবণ নির্মানসহ এলাকার রাস্তা ঘাট, স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান ও শশ্মানে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে ।

এ বিষয়ে কথা হয় এমপি মিলনের সাথে তিনি বলেন, সরকারের দেয়া বরাদ্দ রায়গঞ্জ-তাড়াশের প্রতিটি মানুষের দৌড়গড়ায় পৌছে দিয়েছি। এলাকার প্রতিটি রাস্তাঘাট, কালভার্ড, ব্রীজ, মসজিদ, মাদ্রাসা মন্দিরসহ সকল বিষয়ে শতভাগ কাজ করেছি। 

এজন্য তৃনমুলে আমাকে আবারো এমপি হিসাবে দেখতে চায়। এবার সকল দলের অংশগ্রহনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ন নির্বাচন হবে। আমি এলাকার উন্নয়ন ও জনগনের আর্শিবাদে মনোনয়নে এবার শতভাগ আশাবাদী। তবে জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকেই মনোনয়ন দেবে তাকে নিয়েই নৌকার পক্ষে কাজ করে যাব।

এমপি বলেন, পাকিস্তান স্বৈরশাসকের শোষণ-নিপীড়ণের বিরুদ্ধে গণআন্দোলনে অংশগ্রহণ করে নিজ এলাকায় নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মাতৃভূমি রক্ষার জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেই। 

তখন সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের পানিঘাটা ক্যাম্প প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ৭০ জন মুক্তিযোদ্ধা, গোলাবারুদ ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-শস্ত্রসহ বাংলদেশে প্রবেশ করে আব্দুল লতিফ মির্জা পরিচালিত পলাশডঙ্গা যুব শিবিরে যোগদান  এবং ৬০০ জন মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয়ে গঠিত ঐ ক্যাম্পে সহ-সর্বাধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। নৌকা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিল, আছে, আগামীতে থাববে। 

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: