তাইজুল-নাইমের সুবাদে ভালো স্কোর বাংলাদেশের
টেইল এন্ডারদের দারুন ব্যাটিংয়ে দিনশেষে ভালো সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্টে একপর্যায়ে ভালো অবস্থানে থাকার পরও গ্যাব্রিয়েল শ্যাননের বোলিং তোপে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। পরে মিরাজ, তাইজুল ও অভিষিক্ত নাইমের ব্যাটিংয়ে দিনশেষে ৮ উইকেটে ৩১৫ রান করেছে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ১২০ রান করেছেন মুমিনুল হক। এছাড়া সাকিবরে ব্যাট থেকে আসে ৩২ রান। ক্যারিবীয়দের পক্ষে ৬৯ রানে ৪ উইকেট লাখ করেছেন গ্যাব্রিয়েল।
ম্যাচে ভালোমতই আধিপত্য বিস্তার করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু হঠাৎ করেই দ্রুত কিছু উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফিরে আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেঞ্চুরি করার পরও দুর্দান্ত খেলছিলেন মুমিনুল। শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার আগে ১৬৭ বলে খেলেছেন ১২০ রানে ঝকঝকে ইনিংস।
এরপরই বিদায় নেন মুশফিক। ভালো ব্যাটিং প্রত্যাশা ছিল তার কাছে। কিন্তু ৩ বলে মাত্র ৪ রান করতেই তাকে নিজের শিকান বানিয়ে ফেললেন গ্যাব্রিয়েল। এরপর মাহমুদুল্লাহ ও সাকিব আউট হন দ্রুত। ৩ উইকেটে ২২২ থেকে ৭ উইকেটে ২৩৫ রান হয়ে যায় স্কোর। মিরাজের সাথে জুটিতে আরো ২২ যোগ হয় স্কোরে।
৮ উইকেটে ২৫৯ রান হলে স্কোর ৩০০ হবেনা বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু সেখান থেকে অবিচ্ছিন্ন ৫৬ রানের জুটি গড়েন নাইম ও তাইজুল। দিনশেষে তাইজুল ৩২ ও নাইম ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন। কাল আবার ব্যাটিংয়ে নামবেন তারা।
এর আগে মিরপুর টেস্টের পর চট্টগ্রাম টেস্টেও চলে মুমিনুল হকের ব্যাটিং দাপট। সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে অসাধারণ এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। অপর প্রান্তে অন্যরা খুব একটা সুবিধা করতে না পারলেও, মুমিনুল একাই ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে দেখালেন নিজের ক্লাস। ১০টি চার ও এক ছয়ে শেষ পর্যন্ত ১২০ রানে থামে তার ইনিংস।
ব্যাটিংটা দিনের শুরুতে প্রত্যাশিত হয়নি। মাত্র ১ রানের মাথায় শুণ্য রানে সাজঘরে ফিরেছেন সৌম্য সরকার। কেমার রোচের কল্যাণে উল্লাসে মাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু সে উল্লাস বেশি ক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি মুমিনুল। ক্রিজেই এসে ওয়ানডে স্টাইলে শুরু করলেন ব্যাট করা। একের পর এক বাউন্ডারিতে দ্রুত এগিয়ে নিতে থাকলেন স্কোর।
এই দুজনের ব্যাটিং দাপটে ১০৪ রানের জুটি গড়ে উঠল। এরপর ৪৪ রান করা ইমরুল প্যাভিলিয়নে ফিরলেন ওয়ারিক্যানের শিকার হয়ে। একপ্রান্তে অবিচলভাবে খেলা উপহার দিয়ে চললেন মুমিনুল। অর্ধশত পার করলেন ওয়ানডে স্টাইলে। এর পর মিথুনের সাথেও গড়ে তুললেন সাবধানী পার্টনারশিপ। ৪৮ রানের জুটিটা বড় হলনা মিথুনের জন্য। সেট হওয়ার পরও, ২০ রান করে দেবেন্দ্র বিশুর শিকার হন তিনি।
বাংলাদেশ একাদশ: ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মাহমুদুল্লাহ, মোহাম্মদ মিথুন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও নাঈম হাসান।
বিডি২৪লাইভ/এএআই
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: