মনোনয়নপত্র দাখিলের নির্দেশনা দিল ইসি

প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০১৮, ০২:৪৪ পিএম

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা দাখিলের শেষ দিন আগামীকাল বুধবার (২৮ নভেম্বর)। এদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টার মধ্যে রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও তা পুরণ করে জমা দেয়া যাবে। সরাসরি ছাড়াও এবারই প্রথমবারের মতো অনলাইনে মনোনয়ন জমা দেয়া যাবে। 

বুধবার (২৮ নভেম্বর) মনোনয়ন পত্র জমা দিলেও প্রার্থীরা প্রচারনা চালাতে পারবেন না। এজন্য তাদের ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সেদিন ইসি থেকে প্রতীক বরাদ্দের পরই প্রচারনার কাজ শুরু করা যাবে। 

মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের জন্য আচরণ বিধি সম্পর্কে নির্দেশনা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। 

মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার নিয়ম ইসির নিদের্শনায় বলা হয়েছে, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়ার সময় প্রার্থী বা তার পক্ষে ৫ জনের বেশি লোক রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয়ে ভিড় করতে পারবেন না। নির্বাচন সামনে রেখে কোন প্রার্থী জনসভা, মিছিল, মিটিং করতে পারবেন না। কেবল পথসভা করতে পারবেন। প্রার্থীদের পোস্টার হতে হবে সাদাকালো। 

প্রতিটি পোস্টারের নিচে পোস্টারের সংখ্যা, প্রেসের ঠিকানা, প্রকাশকের নাম দেয়া বাধ্যতামূলক। না হলে সেসব পোস্টার নির্বাচন কমিশনের কাছে অবৈধ বলে বিবেচিত হবে। পোস্টারের সাইজ হতে পারবে সর্বোচ্চ ২৩ ইঞ্চি বাই ১৮ ইঞ্চি। সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ভোটার নন- এমন কাউকে পোলিং এজেন্ট করা যাবে না। 

নির্বাচনের ২৪ ঘণ্টা আগে পোলিং এজেন্টদের দুই কপি ছবি এবং নামের তালিকা রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দিতে হবে। প্রার্থী হলে পে-অর্ডার বা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা জামানত দিতে হবে। রিটার্নিং অফিসারের অনুকূলে এ টাকা জমা দিতে হবে।

মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় হলফনামা আকারে ৮টি তথ্য দিতে হবে। ব্যয়ের উৎসের বিবরণী, আয়কর রিটার্নের কপি জমা দিতে হবে। মনোনয়ন ফরমে কোন ভুল হলে প্রার্থিতা বাতিল হবে। তাই সম্ভাব্য প্রার্থীকে সতর্কতার সঙ্গে মনোনয়নপত্র পূরণ করতে হবে। মনোনয়ন দাখিলের আগে প্রার্থীকে অবশ্যই যে কোন তফসিলী ব্যাংকে নতুন হিসাব খুলতে হবে। নির্বাচনের সমুদয় ব্যয় এ একাউন্ট থেকেই করতে হবে। এই একাউন্টের নম্বর, ব্যাংক ও শাখার নাম মনোনয়নপত্রে উল্লেখ করতে হবে। 

নির্বাচনের ফলের গেজেটে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব রিটার্নিং অফিসার এবং কমিশনে জমা দিতে হবে। এছাড়া ব্যক্তিগত খরচের হিসাব ফল প্রকাশের ৭ দিনের মধ্যে কমিশনে জমা দিতে হবে। 

কোন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল বা গ্রহণের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে। লিখিত ছাড়া কোন এজেন্টের অভিযোগ আমলে নেবে না কমিশন। কোন ভোটার ব্যালট পেপার ব্যালট বাক্সে না ফেলে বাইরে নিয়ে এলে কমিশন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। 

এছাড়া অন্য কোনভাবে কোন ব্যালট পেপার বাইরে চলে এলে ওই ব্যালট পেপার যে প্রদর্শন করবেন কমিশন তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেবে। কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, নির্বাচনী পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে নির্বাচনী এলাকায় পুলিশ, এপিবিএন এবং ব্যাটালিয়ান আনসার মোতায়েন করা হবে। তারা মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। 

প্রতিটি মোবাইল/স্টাইকিং ফোর্সের সঙ্গে ১ জন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে। নির্বাচনী অপরাধসমূহ বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটও নিয়োগ দেয়া হবে। বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা যে কোন অনিয়মের জন্য ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করতে পারবেন। 

ভোটের দিন নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি থাকবে। ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা ব্যতিত কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না।

বিডি২৪লাইভ/এআই/এসএস 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: