প্রচারণা শুরু আজ

প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৮:৫৬ এএম

নির্বাচন কমিশনের যুগ্মসচিব (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে সোমবার (১০ ডিসেম্বর) প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। প্রতীক বরাদ্দের পরেই আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে।

নির্বাচন কমিশন নির্বাচনে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ভোটার প্রতি নির্বাচনী ব্যয় ১০ (দশ) টাকা নির্ধারণ করেছে। তবে মনোনয়নদানকারী রাজনৈতিক দল থেকে গৃহিত খরচসহ কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী একটি নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনী খরচ ২৫ লাখ টাকার অধিক হবে না।

নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচনের পোস্টার সাদাকালো হতে হবে। পোস্টার দেয়ালে, গাড়িতে এমনকি গাছেও লাগানো নিষেধ। শুধুমাত্র রাস্তার উপরে দড়ি দিয়ে পোস্টার ঝোলানো যাবে। নির্বাচনের সময় দেয়াল লেখনও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যত্রতত্র ক্যাম্পেইন অফিস বানানো নিষেধ। একটি পৌরসভায় প্রতি ওয়ার্ডে একটি করে ক্যাম্পেইন অফিস থাকতে পারবে। সেই কার্যালয়ে টেলিভিশন রাখা নিষেধ, মাইক লাগানো যাবে না। দুপুর দুটো থেকে রাত আটটা পর্যন্ত এইটুকু সময় প্রার্থীরা প্রচার করতে পারবেন। জনদুর্ভোগ এড়াতে এই নিয়ম করা হয়েছে। একটি ওয়ার্ডে তিনটির বেশি মাইক ব্যবহার নিষেধ। ভোট পাওয়ার জন্য মানুষজনকে দাওয়াত দেয়া, খাওয়ানো বা উপহার দেয়া নিষেধ। নির্ধারিত সময়ের আগে প্রচারণা শুরু করা যাবে না।

মন্ত্রী ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে নিয়ম, এই সময়ে কোন মন্ত্রী তার এলাকায় গেলে প্রোটকল পাবেন না। কাগজে অবশ্য বলা আছে কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। এই সময় তারা কোন উন্নয়নমূলক কাজ উদ্বোধন করতে পারবেন না যা প্রচারণা বলে গণ্য হতে পারে। শুধুমাত্র চলতি প্রকল্প বাদে এই সময় কোন অনুদান দেয়ারও অনুমোদন নেই। নতুন কোন প্রকল্প নেয়া যাবে না। কোন মন্দির, মসজিদ বা গির্জায় ভোট চাইতে পারবেনা না প্রার্থীরা।

মাইকে প্রচার হতে হবে দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা মধ্যে। একই সঙ্গে একই নির্বাচনী এলাকাতেই কোনো অবস্থাতেই তিনটির বেশি লাউড স্পিকার নয়। মোটর সাইকেলসহ যে কোনো মটরগাড়িতে করে মিছিল, মশাল মিছিল বা শোভাযাত্রা একদন নিষিদ্ধ। বিদ্যুৎ ব্যবহার করে কোনো প্রকার আলোকসজ্জা করা যাবে না। নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতীক হিসেবে জীবন্ত কোনো প্রাণি ব্যবহার নিষিদ্ধ।

প্রচারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় উপসনালয় ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অন্য কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি সম্মানহানিকর কিছু করতে পারবে না। দেওয়া যাবে না কোনো উসকানিমূলক বক্তব্যও।

দলীয় প্রধান ছাড়া অন্য কেউ হেলিকপ্টারও ব্যবহার করতে পারবে না।

আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে জরিমানা ও জেল দু ধরনের শাস্তির ব্যবস্থাই রয়েছে। নির্বাচন কমিশন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করে যার এই শাস্তি দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে। কমিশন তদন্তের জন্য কমিটি তৈরি করে যাতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছয় মাসের জেল ও ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারেন। এর উপরে হলে আদালতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যেতে হবে। চরম শাস্তি হল প্রার্থিতা বাতিল করা।

এবারের নির্বাচনে প্রায় আড়াই হাজারের মতো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। মহাজোট ও ২০ দলীয় জোট দলগুলো এবার প্রায় হাজারের কাছাকাছি প্রার্থী দিয়েছে। এছাড়া স্বতন্ত্র থেকেও দুই শতাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

২৮ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়। এতে মোট ৩ হাজার ৬৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বিডি২৪লাইভ/এআই/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: