মনির খানের পদত্যাগের নেপথ্যে জামায়াত

প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৪:৩২ পিএম

বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন সঙ্গীত শিল্পী মনির খান। রবিবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পদত্যাগের কথা জানান তিনি।

পদত্যাগের কারণ হিসেবে ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর-কোটচাঁদপুর) আসনটি বিএনপিকে ছেড়ে দেওয়াকে উল্লেখ করছেন মনির খান। তিনি বলেন, দশ বছর ধরে আমি সেখানে কাজ করছি। দলের যে ছোট ছোট ফাটল ছিল সেগুলো দূর করেছি। বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করেছি। তৃণমূল পর্যায়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছি।

তিনি বলেন, মনোনয়ন দেওয়ার পূর্বে আলোচনা হয়েছে। বিএনপির যারা আগ্রহী ছিলেন সবাই মিলে বসেছিলাম। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ওখানে বিএনপির যাকেই প্রার্থী করা হোক সবাই মিলে কাজ করবো। কিন্তু সেটা বিএনপিকে দেওয়া হলো না।

মনির খান বলেন, আমি ৮৯ সালে ছাত্র সংগঠনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলাম। ৯১ সালে ঢাকায় এসে আমি জাসাসের সাথে যুক্ত হই। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ি। ২০০৮ সাল থেকে ১৮ সাল এই ১০ বছর আমি ব্যয় করেছি তৃণমূল পর্যায়ে। দলের যখন খারাপ সময় তখন আমি দলে এসেছি। বিপরীত স্রোতের বিপক্ষে কাজ করে গেছি।   
 
মনির খান বলেন, রাজনীতির মাঠ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে আবার সংগীত চর্চা শুরু করব। আমি আর কখনও দলে ফিরব না। আমি আমার নিজ জীবন এবং সংগীতচর্চা নিয়ে থাকব।

তিনি আরো বলেন, মাঝখানে যে কটা দিন, যে কটা বছর রাজনীতি করে কেটে গেছে, এটি আমার জীবনের অ্যাকসিডেন্ট ছিল। ভুল ছিল। এই ভুলের জন্য আমি সব মানুষের কাছে ক্ষমা প্রার্থী।

তিনি আরো বলেন, আজ বিভিন্ন অজুহাতে আমার এলাকার জনগণকে এবং আমাকে জাতীয় নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো। এমন অবস্থায় আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণের দাবির সঙ্গে একমত হয়ে বিএনপির সব সাংগঠনিক পদ পদবী থেকে ইস্তফা দিলাম।

উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর-কোটচাঁদপুর) আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন মনির খান। কিন্তু চূড়ান্ত পর্যায়ে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। আসনটি জোটগতভাবে জামায়াতকে দেওয়া হয়েছে। গত পাঁচটি নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৩ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও এবার তার ব্যতিক্রম হলো। সূত্র: কালেরকন্ঠ।

বিডি২৪লাইভ/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: