বিভক্ত আদেশ নিয়ে যা বললেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী 

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:৩৭ পিএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া অংশ নিতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে বিভক্তি আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।

তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন খালেদা জিয়া। বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চে সোমবার ওই আবেদনের ওপর শুনানি হয়।

প্রতীক নিয়ে প্রার্থীরা নির্বাচনের মাঠে প্রচারে নামলেও ঝুলে গেছে খালেদা জিয়ার ভাগ্য।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, তার মনোনয়নপত্র রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছিলেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নির্বাচন কমিশনে যাই। সেখানে সুবিচার পাইনি। সোমবার সারা দিন এটার ওপর শুনানি হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা বলেছিলাম-দেশের স্বার্থে, জাতির স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হোক।

‘আদালত আমাদের বক্তব্য শুনেছেন। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী বলেছেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করছে, ঠুঁটো জগন্নাথের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। এমনকি ইসির যা করার এখতিয়ার নেই, তা করে যাচ্ছে।’

কায়সার কামাল বলেন, সব বক্তব্য শুনে আদালতের প্রিজাইডিং জাজ আমাদের পক্ষে অর্থাৎ খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন, এ অর্ডার দিয়েছেন। কিন্তু কনিষ্ঠ বিচারপতি ভিন্নমত দিয়েছেন। এতে তা বিভক্ত রায়ে পরিণত হয়ে গেছে।

‘প্রিজাইডিং জাজ আদেশ দিয়েছেন নির্বাচন করার পক্ষে। অর্থাৎ খালেদা জিয়া যাতে নির্বাচন করতে পারেন এবং নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন। নির্দেশনা দিয়েছেন, তার যাবতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি ও আনুষ্ঠানিকতা গ্রহণের জন্য।’

তিনি বলেন, এখন এ আদেশ প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হবে। এ আবেদনটি নিষ্পত্তির জন্য তিনি নতুন একটি বেঞ্চ গঠন করবেন। সেই বেঞ্চে অর্থাৎ থার্ড বেঞ্চে শুনানির জন্য ধার্য করা হবে।

খালেদা জিয়ার এ আইনজীবী বলেন, আমরা মনে করি ন্যায়বিচার সবসময় থাকবে। কাজেই ন্যায়বিচার পাব। এখন তৃতীয় বেঞ্চে আবার শুনানি হবে। আশা করি, এ বেঞ্চে আমাদের পক্ষে রায় আসবে।

তবে এ জন্য পর্যাপ্ত সময় আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সময় নিশ্চয়ই আছে। সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ যে কোনো সময় যে অর্ডার দেয়, সেই অর্ডার মেনে চলতে নির্বাচন কমিশন বাধ্য।

বিডি২৪লাইভ/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: