নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবেন যারা

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০১:৫৮ পিএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন করতে ১৩ ডিসেম্বর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বসছে নির্বাচন কমিশন ( ইসি)। এবার দশম সংসদের আদলে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আইন-শৃঙ্খলা ছক আকা হচ্ছে। ভোটের দায়িত্বে রাখা হচ্ছে সাড়ে ৬ লাখের অধিক আইন- শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। 

আইন-শৃঙ্খলা বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, শুধু ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকবে ৮০ হাজর ১৬৬ জন পুলিশ। আনসার- ভিডিপি নারী -পুরুষ সদস্য থাকবে ৪ লাখ ৭০ হাজার। গ্রাম পুলিশ থাকবে ৪০ হাজার। এর বাহিরে বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব ,আনসার, কোস্ট গার্ড মিলে মোবাই টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোট কেন্দ্রের বাহিরের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবেন। তারা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে বা ভোটগণনা কক্ষে ঢুকতে পারবেন না। তবে রিটার্নিং বা প্রিজাইডিং কর্মকর্তা চাইলেই কেবলমাত্র স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টিমের সদস্যরা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করবেন।

অন্যদিকে ভোটের আগে-পরে ১০ দিন সেনাবাহিনীর আলাদা ফোর্স মাঠে নামানোর প্ররিকল্পনা রয়েছে ইসির।
ইসি কর্মকর্তরা জানান, একাদশ সংসদ নির্বাচনের ৪০ হাজার ১৮৩ টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে প্রতিটি সাধারণ ভোট কেন্দ্রে পুলিশ- ১জন (অস্ত্রসহ), আনসার-১জন পিসি (অস্ত্রসহ), আনসার-১ জন এপিসি (অস্ত্র/ লাঠিসহ), আনসার সদস্য-( মহিলা - ৪, পুরুষ- ৬)= ১০ জন , গ্রাম পুলিশ- ১জন, মোট থাকবে= ১৪ জন । মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরের গুরুত্বপূর্ণ ভোট কেন্দ্রে থাকবে পুলিশ- ২জন (অস্ত্রসহ), আনসার-১জন পিসি (অস্ত্রসহ), আনসার- ১জন এপিসি (অস্ত্র/লাঠিসহ), আনসার সদস্য -( মহিলা -৪, পুরুষ-৫)= ৯ জন , গ্রাম পুলিশ- ১জন, মোট থাকবে= ১৪ জন।

মেট্রোপলিটন এলাকায় প্রতিটি সাধারণ ভোট কেন্দ্রে পুলিশ- ৩ জন (অস্ত্রসহ), আনসার- ১জন পিসি (অস্ত্রসহ), আনসার- ১ জন এপিসি (অস্ত্র/ লাঠিসহ), আনসার সদস্য-( মহিলা -৪, পুরুষ-৬) = ১০ জন , গ্রাম পুলিশ- ১জন, মোট থাকবে= ১৬ জন ।

মেট্রোপলিটন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ ভোট কেন্দ্রে থাকবে পুলিশ-৫ জন(অস্ত্রসহ), আনসার-১জন পিসি (অস্ত্রসহ), আনসার- ১জন এপিসি (অস্ত্র/লাঠিসহ), আনসার সদস্য-( মহিলা -৪, পুরুষ-৫) = ৯ জন , গ্রাম পুলিশ- ১, মোট থাকবে= ১৮ জন।

পার্বত্যএলাকায় সাধারণ ভোট কেন্দ্রে পুলিশ- ২ জন (অস্ত্রসহ), আনসার- ১জন পিসি (অস্ত্রসহ), আনসার- ১ জন এপিসি (অস্ত্র/ লাঠিসহ), আনসার সদস্য-( মহিলা -৪, পুরুষ-৬) = ১০ জন , গ্রাম পুলিশ- ১জন, মোট থাকবে = ১৫ জন । এছাড়া পর্বত্য এলাকার গুরুত্বপূর্ণ ভোট কেন্দ্রে ১৬ জন আইন- শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবে।
পরিকল্পনা অনুযায়ি, বিজিবি, কোস্টগার্ড, র‌্যাব ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান সদস্যরা স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টীম হিসেবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে পহেলা জানুয়ারি মাঠে থাকবেন।

আগামী ২৯ ডিসেম্বর ৩০০ সংসদীয় আসনে সবমিলিয়ে ৬৪০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে নামবেন। তারা ভোটের পরও দুইদিনসহ সবমিলিয়ে চারদিন মাঠে থাকবেন। এ সময় নির্বাচনী অপরাধে সংক্ষিপ্ত বিচার করবেন।
সূত্র জানায় , ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা ভোটগ্রহণের দুইদিন আগে, ভোটের দিন ও ভোটের পরের দিন পর্যন্ত মোট চার দিন মাঠে থাকবেন। আর আনসার সদস্যরা ভোটগ্রহণের তিনদিন আগে মাঠে নেমে থাকবেন পরের দিন পর্যন্ত। 

ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ি, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা জেলা, উপজেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট এবং সুবিধাজনক জায়গায় তারা অবস্থান করবেন। নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার সহায়তা কামনা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য অন্যান্য প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা প্রদান করবে। রিটার্নিং বা প্রিজাইডিং অফিসার না চাইলে তারা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে বা ভোটগণনা কক্ষে যাবেন না।

সূত্র জানায়, ভোটারদের যাতায়াতের পথ নির্বিঘনে করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভ্রাম্যমাণ ইউনিটগুলোকে নিবিড় টহল দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হবে। ভোট কেন্দ্রে ফল প্রকাশের পর তা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিরাপদে পৌঁছাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। দুর্গম এলাকার ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের যাতায়াতে হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হবে। ভোটের দিন যান চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে।
এ নির্বাচনে মোট ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৩ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বিডি২৪লাইভ/এআই/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: