এবার যা করবেন ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ ফেরত ঐশী

প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:৪৩ এএম

মধ্যবিত্ত পরিবারের ঐশী এইচএসসি শেষ করে জুলাই মাসে ঢাকায় এসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং করার জন্য। স্বপ্ন, ভালো কোথাও ভর্তি হয়ে বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করা। শুরু করেছিলেন আইইএলটিএস কোচিংও।

আত্মীয়ের বাসায় থেকে পড়াশোনা করতেন ঐশী। সাদামাটা একটা জীবন। হঠাৎ-ই শুনলেন মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৮-এর আবেদন চলছে। ছেলেবেলা থেকেই নিজের সৌন্দর্যের জন্য অনেক প্রশংসা পেয়েছেন তিনি।

সেই আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে কৌতূহল মেটাতেই নাম লিখিয়েছিলেন এ প্রতিযোগিতায়। সময়ের স্রোতে বরিশালের পিরোজপুরের মাটিভাঙা এলাকার ঐশী বিশ্ব সুন্দরীর আসরে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

গতবার থেকে চালু হওয়ার ‘হেড টু হেড চ্যালেঞ্জ’ গ্রুপ পার হয়ে ফাইনালেও পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু শেষমেশ বিশ্বসুন্দরীর মুকুট জিতে নেন মেক্সিকান তরুণী ভেনেসা পনসে দে লিওন। চীনের সানইয়াহ শহরে জমকালো গ্র্যান্ড ফিনালেতে তার মাথায় মুকুট পরিয়ে দেন গতবারের বিশ্বসুন্দরী ভারতের মানসী চিল্লার।

তবে এবারের আসরের শুরু থেকেই বিচারকদের বিশেষ নজরে ছিলেন বাংলাদেশ থেকে অংশ নেয়া জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী। ১৮ বছর বয়সী পিরোজপুরের এই মেয়ে ছিলেন ১১৮ দেশের প্রতিযোগীদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট। কিন্তু সবচেয়ে বেশি প্রশংসা তিনিই পেয়েছেন। সাক্ষাৎকারে এসব কথা ঐশীই জানিয়েছেন। মুকুট জিততে না পারলেও প্রথমবারের মতো বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠে ইতিহাসও সৃষ্টি করেন তিনি।

‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতা থেকে সোমবার দেশে ফিরেছেন ঐশী। প্রতিযোগিতার ৬৮তম আসরে অংশ নিতে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’-এর পক্ষ থেকে চীনে গিয়েছিলেন তিনি।

চীন থেকে ফেরার পর মঙ্গলবার তিনি গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে আগামী দিনে নিজের পরিকল্পনার কথা খোলামেলা জানিয়েছেন এই সুন্দরী।

বিশ্বের সেরা ৩০ সুন্দরীর তালিকা নিজের নাম লেখাতে পারার সাফল্য নিয়ে ঐশী বলেন, গত বছর ভোটিংয়ের মাধ্যমে সেরা ৪০ বাছাই করা হয়েছিল। কিন্তু এবার শুধু ভোটিং নয়, যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে এই তালিকায় স্থান করতে হয়েছে। অনেকটা নার্ভাস ছিলাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেরেছি।

হেড টু হেড পর্বে মাত্র ইন্টারমিডিয়েটের ছাত্রী হয়ে একজন সায়েন্টিস্টের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হয়েছে ঐশীকে। এ বিষয়ে তিনি বরেন, উনি একজন সায়েন্টিস্ট। মনে হচ্ছিল, কী জানি, কী হয়। কিন্তু আমি মঞ্চে পুরো সময় স্বাভাবিক ছিলাম। মঞ্চে ওঠার সময় আমি কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করিনি। কী করতে হবে, কী বলতে হবে-সবই তাৎক্ষণিকভাবে হয়েছে। আমার কোনো কিছুই পূর্বে লেখা ছিল না।

এখন কী করতে চাইছেন- এমন প্রশ্ন করা হলে ঐশী বলেন, আমি সরকারি বিশ্ববিদ্যায়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারিনি। শীঘ্রই কোনো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হব। পড়াশোনা করতে হবে। ভবিষ্যতে সুযোগ আর সময় হলে চিত্রজগতে কাজ করব।

নাটক, সিনেমা, বিজ্ঞাপন- সব মাধ্যমেই কাজ করতে চান ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ-২০১৮’ চ্যাম্পিয়ন জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী। সব মাধ্যমেই তিনি কাজ করতে চান। এমনকি সিনেমায়ও।

কিন্তু নায়ক হিসেবে কাকে পছন্দ পিরোজপুরের মেয়ে ঐশীর। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সবাইকে বলতে শুনি,সিনেমায় নায়ক হিসেবে শাকিব খানকে চাই। কিন্তু আমার তেমন কোনো পছন্দ নেই। মানসম্মত একটা গল্প, ভালো একজন অভিনেতা এবং ভালো পরিচালক হলেই কাজ করব। নাটকের ক্ষেত্রেও একই ভাবনা। পাশাপাশি পড়াশোনাটাও চালিয়ে যেতে চাই।’

বিডি২৪লাইভ/এআইআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: