যে কারণে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়, জানাল সচিব

প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৬:০২ পিএম

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম বলেছেন, এলপি গ্যাস ব্যবহারের পাশাপাশি এ নিয়ে দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এসব দুর্ঘটনাকে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ঐসব প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এসব সিলিন্ডারে উচ্চ চাপে এলসি গ্যাস ভর্তি করানো হয় বলে এবং সিলিন্ডারের গুণগত মান সঠিক নয় বলে বিস্ফোরণ হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে সিলিন্ডারে উচ্চচাপে এলপি গ্যাস ভর্তি করা হয় না। সিলিন্ডার ব্যবহারের সঠিক নিয়ম না জানা, অসতর্কতা, সঠিক পরিবেশে সিলিন্ডার ব্যবহার না করা এবং সিলিন্ডারের গুণগতমান যাচাই না করাই বিস্ফোরণের কারণ।

বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ব্যবহারকারী, উৎপাদনকারী ও বিপণনকারীকে সিলিন্ডার ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। এক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে সচেতন হলে দুর্ঘটনা অনেক কমে যাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। সেগুলো হলো- সিলিন্ডার চুলা বা আগুনের পাশে রাখা যাবে না। সিলিন্ডার আগুনে বা অন্য কোনোভাবে গরম করা যাবে না, অতিরিক্ত গ্যাস বের করার জন্য সিলিন্ডারে তাপ দেওয়া যাবে না। রান্না শেষে চুলা ও এলপিজি সিলিন্ডার রেগুলেটরের সুইচ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। কক্ষে গ্যাসের গন্ধ পেলে ম্যাচের কাঠি জ্বালানো উচিত নয়, এসময় দ্রুত দরজা-জানালা খুলে দিতে হবে। চুলা সিলিন্ডার থেকে কমপক্ষে ছয় ইঞ্চি উপরে রাখতে হবে। বাল্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রেগুলেটর ব্যবহার করা উচিত। রান্নার আধা ঘণ্টা আগে ঘরের দরজা জানালা খুলে দেওয়া ভালো। এলপিজি সিলিন্ডার খাড়াভাবে রাখা উচিত, কখনোই উপুড় বা কাত করে রাখা যাবে না এবং রান্নাঘরের উপরে ও নিচে ভেন্টিলেটর রাখা জরুরি।

এসময় তিনি জানান, গৃহস্থালিতে পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারের পরিবর্তে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) জনপ্রিয় করার উদ্যাগ নেওয়া হয়েছে। গত ১০ বছরে দেশে এলপি গ্যাসের ব্যবহার বেড়েছে ২১ গুণের বেশি। বর্তমানে প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন এলপিজি ব্যবহার হচ্ছে। ২০০৯ সালে এলপিজির ব্যবহার ছিল মাত্র ৪৭ হাজার মেট্রিক টন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে এলপি গ্যাসের চাহিদা ৩০ লাখ মেট্রিক টন। এজন্য ৬০টি কোম্পানিকে প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কোম্পানিগুলো অপারেশনে আসলে এলপি গ্যাসের মাধ্যমে অন্যদিকে জ্বালানি চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। বর্তমানে ১৭টি কোম্পানি এলপি গ্যাস গ্রাহক পর্যায়ে সরবরাহ করছে। পরিবেশবান্ধব এই গ্যাস সঠিক নিয়মে ব্যবহার করলে দুর্ঘটনা অনেকাংশেই কমে যাবে।

বিডি২৪লাইভ/এসএইচআর/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: