সব প্রস্তুতি সম্পন্ন, ব্যালট যাবে ২৩ ডিসেম্বর

প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৭:১২ পিএম

প্রায় এক মাসের ওপরে আমাদের যে ধরনের প্রস্তুতি নেয় প্রয়োজন, তা ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। প্রিসাইডং এবং পুলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেয়া ছাড়া বিগদ এক মাসে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমেদ।

শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে আগারগাওস্থ নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমেদ একথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, আগামী ১৮ ডিসেম্বর রাঙ্গামাটিতে তিন পার্বত্য জেলা নিয়ে একটি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হবে। এখন শুধু প্রিজাইডিং এবং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ বাকী রয়েছে। তাছাড়া মাঠ পযয়ে ৮টি বিভাগে কমিশনারগন নিজেরা গিয়ে সহকারী রির্টানিং অফিসার এবং থানারা খারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আরেকটি প্রস্তুতি বাকী রয়েছে সেটি হলো ব্যলাট পেপার তৈরি। আশা করছি নির্বাচনের সাত দিন আগেই সকল এলাকায় ব্যালট পেপার পৌছে যাবে। এখনো কিছু এলাকায় এছাড়া এখনো উচ্চ আদালত থেকে বেশ কিছু নিদের্শনা আসছে। তাই ক্ষেত্র বিশেষ ব্যলট ছাপানো কিছুটা বিলম্ব হতে পারে। তবে অবশ্যই ভোটের ৭দিন আগে (২৩ ডিসেম্বর) সব এলাকায় ব্যলট পৌছে দেয়া হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি ২ তারিখ পর্যন্ত ১০দিন সেনাবাহিনী মাঠে থাকবেন। ভোটের মাঠে সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা আমাদের আইন-শৃংখলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করবেন। আমাদের ৩ ধরনের বিচারকরা মাঠে রয়েছেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন ৬৫২ জন, ২৪৪ জন সিনিয়র ডিস্ট্রিক জাজ, জয়েন্ট ডিস্ট্রিক জাজ, জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট থাকবে ৬৪০ জন। তারা নির্বাচনের দুদিন আগে থেকে নির্বাচনের পরদিন পর্যন্ত মোট ৪দিন দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া হাজারখানের বিভিন্ন বাহিনীর সংগে নির্বাহী ম্যাটিস্ট্রেট থাকবেন। তারা বিজিবি, ব্যার, সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। যেহেতু এরাই নির্বাচনের মাঠে তারা বিচারিক দায়িত্ব পালন করবেন তাই পৃথক ভাবে অন্য কোন বাহিনীকে বিচারিক দায়িত্ব দেয়ার সুযোগ নেই।

সাংবাদিকরা নির্বাচনে কি ধরনের কাজ করতে পারবেন, তারা ৪০ গজের মধ্যে প্রবেশ করতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যপ্যারে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে নীতিমালা থাকলেও সাংবাদিকদের জন্য সুনির্দিষ্ট কোন নীতিমালা নেই। একটি নীতিমালা করার প্রস্তাবনা রয়েছে। তাবে কমিশনাগন বলেছে তারা ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবেন, ভোটারদের মতামত নিতে পারবেন তবে সরাসারি সম্প্রচারের ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা রাখার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।

ভোট কেন্দ্র মোবাইল ফোন ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্র প্রিজাইডিং অফিসার এবং পুলিশ ইনচার্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন। অন্যদের কাছেও মোবাইল ফোন থাকতে পারে তবে সেটি নিরাপত্তার স্বার্থে ভোট কেন্দ্রর বাইরে গিয়ে ব্যবহার করাই ভাল।

বিডি২৪লাইভ/এআই/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: