বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিস্কার করতে সময় নিচ্ছে আ’লীগ

প্রকাশিত: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৩:৪৬ পিএম

আওয়ামী লীগে কোন বিদ্রোহী প্রার্থী নেই। দুই-তিন জন যারা আছে তারা আশা করি সরে দাড়াবে মহাজোটের প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন জানিয়ে। একটি দলের নেতাকে সহসাই বহিষ্কার করা যায় না দলে তারও ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, আমরা আর একটুকু অপেক্ষা করবো তারপর যদি সরে না দাড়ায় তবে অবশ্যই বহিষ্কার করবো। 

বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) আওয়মী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় নাঙ্ক বলেন, এবারের নির্বাচন আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। এখানে কোন ছাড় দেয়ার অবকাশ নেই। ৩০ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত। তারা যত ষড়যন্ত্র করুক না কেন, সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

নানক বলেন, গতকাল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ শিরোনামে ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহারে দেশের মানুষের মধ্যে যেমন ব্যাপক ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে, অন্যদিকে বিএনপি ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহারে দেশবাসীকে আবারো চরম হতাশ ও বিভ্রান্ত করেছে। কোন গণতান্ত্রিক রাজনীতি দলের কাছ থেকে এ ধরনের ইশতেহার দেশের মানুষ আশা করে নাই। মহান বিজয়ের মাসে ঘোষিত তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষাবলম্বন করা হয়েছে। আবার প্রমাণ করেছে তারা যুদ্ধাপরাধ ও সাম্প্রদায়িক শক্তির পক্ষেই রাজনীতি করে। এই অপশক্তিক অর্থাৎ জামাতকে রাজনীতিতে পুনর্বাসণ করাই বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য।

এসময় নানক আরও বলেন, বিশ্বের কোন দেশে এমন নজির নেই যেখানে চাকরী প্রার্থীদের বয়সসীমা পুরোপুরি তুলে দিয়েছে, বিএনপির ইশতেহারে এমন প্রতিশ্রুতিকে তরুণ সমাজের প্রতি প্রহসন ও প্রতারণা বলে দাবি করেছেন করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক।

তিনি বলেন, তাদের ইশতেহারে দেশবাসী, তরুণ সমাজ আশাহত। বিএনপির ইশতেহারে সত্যের অপালাপ ছাড়া আর কিছু নাই। চাকরী বয়সসীমা যদি তুলে দেয়া হয়, তবে দেশে বেকারত্বের সংখ্যা বাড়বে এবং তরুণদের মাঝে হতাশা বিরাজ করবে।সস্তা জনপ্রিয়তায় বিএনপির প্রতিশ্রুতি দেশের তরুণদের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই না। বিএনপির ইশতেহারকে অন্তঃসারশূন্য বলে উল্লেখ করেন তিনি।

নানক বলেন, বিএনপি একদিকে দুর্নীতি ও মুদ্রা পাচার রোধের অঙ্গীকার করছে অন্যদিকে মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা দেশে বিদেশে পাচার করছে, যা তাদের মনোনয়ন বঞ্চিত কর্মীদের বক্তব্যে প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশের মানি লন্ডারিংয়ের দায়ে তথাকথিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। যা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার সাক্ষ্যে প্রমাণিত হয়েছে। তাদের পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনা হয়েছে। তাদের মুখি দুর্নীতি প্রতিরোধের অঙ্গিকার জাতির সাথে তামাশা ও প্রতারণা ছাড়া অন্য কিছু নয় বলে মনে করেণ এই নেতা।

বিডি২৪লাইভ/এসবি/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: