ধানের শীষ বিএনপির নয়, জাতির মার্কা

প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০২:২৭ পিএম

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাষ্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, রাস্তায় পোষ্টার থাকুক আর না থাকুক। জনগণের মার্কাতেই জনগণ ভোট দেবে। আর সেই মার্কাটা হচ্ছে ধানের শীষ। ধানের শীষ বিএনপির মার্কা নয়। আজকে এটা জাতীর মার্কা, ধানের শীষ গণতন্ত্রের মার্কা।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে যেমন জয় বাংলা ছিল আমাদের স্লোগান। তেমনি ধানের শীষ জাতির আকাঙ্খার
প্রতীক, পরিবর্তনের মার্কা।

রোববার (২৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম কতৃক আয়োজিত 'একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাবনা ও শষ্কা ' শীষক মুক্ত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

জাফরুল্লাহ বলেন, আগামীকাল থেকে সেনারা নামবেন। জনগণ আমাদের সেনাবাহিনীদের বিশ্বাস করে। তাদের প্রতি মানুষের এতোটুকু আস্থা আছে। কারণ তারা কোন অনৈতিক কাজকে সমর্থন করবে না।

তিনি বলেন, জনগণ তাদের মনোস্থির করে রেখেছে। এবারের খেলাটা ভিন্নভাবে হবে। হাজারে, হাজারে লাখে লাখে মানুষ ভোট দিতে আসবে। ভোট দেবে যাকে পছন্দ তাকে। ভারতীয় এজেন্টদের কে ভোট দেবে না তারা।

প্রধানমন্ত্রীরর সমালোচনা করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা, যে দেশে প্রধানমন্ত্রী কথা রাখেন না। সে দেশে নির্বাচন কমিশন কথা রাখবেন তা আশা করা যায় না। প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা চেতনার রিফেকসন হচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

এ পর্যন্ত সম্প্রতিকালে তিনি প্রতিবারি কথা ভঙ্গ করেছেন, শিষ্টাচার করেছেন। তিনি বলেছিলেন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন চান না, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চান। জনগণ যাকে ইচ্ছা ভোট দিবে, জনগণ যদি চায় তাহলেই তিনি নির্বাচিত হবেন। কোনভাবে নির্বাচনকে প্রভাবিত করবেন না। কিন্তু তিন কথা রাখেননি।

তিনি আরো বলেন প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন বলে আসছেন নির্বাচনকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকবেন না। কেননা তাদের ওই প্রভাবিত হাইকোর্টের রায়ে একটা ভালো পদ্ধতি বাতিল হয়ে গেছে। খয়ের খাঁ বিচারপতি খাইরুল হক সাহেব রায় লিখলেন। ১৬ মাস পর রায়ের প্রকাশ হলো। কথা ছিলো আরো দুটা বার তত্ত্বাদায়ক সরকার থাকবে। সংসদীয় সকলেই এই রায় গ্রহন করবেন।হাইকোর্টের এই ধরনের রায়ের পরে তারা তড়িঘড়ি করে বাতিল করে দিলেন। বাতিলকালে তিনি বলেছিলেন, নির্বাচন তার অধিনেই হবে।তবে ছোট আকারে নির্বাচনকালীন সরকার হবে। তিনি সংলাপে বলেছিলেন তফসিল ঘোষণার পর আর কাউকে গ্রেফতার করা হবে না। গায়েবি মামলা হবে না।

বিএনপির এই বুদ্ধিজীবী বলেন, আমাদের জাতীর একটা সামরিক বাহিনী, যারা আমাদের দেশের সীমানা রক্কা করে যাদের আমরা বিশ্বাস করি। শেষ ঘোষটা তাদের দেওয়া হয়েছে। প্রত্যাকটা মেজর আর লেফটেনেন্ট কর্ণেলকে সার্বক্ষণিক গাড়ি দেওয়া হয়ে। অথাৎ ঘুষ দিয়ে খুশি করতে চাইছেন। কিন্তু ঘুষ দিয়ে তো কাউকে খুশি করা যায়। সে কারণে আমলা আর সামরিক বাহিনীর মধ্যে দ্বন্ধ শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি নির্বাচন কমিশনকে ১৫ তারিখে মাঠে নামাবার কথা জানিয়ে ছিলাম, তখন তিনি বলেন, না একটু...
আমি তখন বললাম কেনো সেনবাহিনী কি পথ ঘাট চিনেনা। তাদের কাছে গুগুল ম্যাপ নেই। কেনো তারা কি বাংলাদেশের সন্তান না। তা যদি হয় তাহলে তো আমাদের স্বাধীনতা নিরাপদ না। এভাবে আপনারা সামরিক বাহিনীকে অপমান করতে পারেন না। তখন তিনি বললেন বাদ দেয়নাই ২৪ তারিখে আসবেন। আমি বললাম তাদের কিছু করতে হবে না শুধু টহল দিলেই চলবে।

বিডি২৪লাইভ/এএফ/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: