অবশেষে সেই ভয়ঙ্কর ধর্ষক গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০২ জানুয়ারি ২০১৯, ০৭:৫২ পিএম

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে এক নারীকে (৪০) মারধর ও গণধর্ষণের ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি সোহেল (৩৫) সহ আরো ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গোয়েন্দা পুলিশ মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) রাতে, বুধবার দুপুরে কুমিল্লা ও লক্ষীপুরে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ সুপার মো: ইলিয়াছ শরীফ জানান, বুধবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লার বরুরা উপজেলার মহেষপুরের একটি ইটভাটা থেকে মামলার প্রধান আসামি সোহেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলা থেকে মামলার তিন নম্বর আসামি স্বপনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সোমবার মামলার ছয় নম্বর আসামি বাসুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

অন্যদিকে গণধর্ষণের ঘটনা তদন্তে বুধবার দুপুরে মানবাধিকার কমিশনের তিন সদস্যের একটি কমিটি নোয়াখালী আসে। তারা হাসপাতালে ওই নারীর স্বাক্ষর গ্রহণ করে।

নির্যাতনের শিকার ওই নারী বর্তমানে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বুধবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে তাঁর কাছে শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানতে চালে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, এখনো পুরো শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা। ব্যথার কারণে কাত হয়ে ফিরতে পারেন না। সারা শরীরে নির্যাতনের জায়গাগুলোতে রক্ত জমে কালো হয়ে গেছে।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. খলিল উল্যাহ বলেন, ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন আছে। গতকাল মঙ্গলবার থানা থেকে অনুরোধপত্র পাঠানোর পর তাঁরা আলামত সংগ্রহ করেছেন। তবে পরীক্ষার ফলাফল এখনো তাঁর হাতে এসে পৌঁছায়নি।

উল্লেখ্য, গত রোববার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে একদল যুবক ওই নারীর ঘরে ঢুকে প্রথমে তাঁকে ও তাঁর স্বামীকে মারধর করে। পরে স্বামী ও সন্তানদের বেঁধে রেখে ওই নারীকে ঘরের বাইরে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়।

বিডি২৪লাইভ/আরআই

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: