কড়া নিরাপত্তায় বন্দী স্থানান্তর

প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ০৬:২৮ পিএম

কিশোরগঞ্জ শহরতলীর খিলপাড়া এলাকায় নবনির্মিত কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে বন্দী স্থানান্তর কার্যক্রম শেষ হয়েছে। শনিবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ৭টা থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নতুন কারাগারে বন্দীদের নিয়ে যাওয়া হয়।
গত বছরের পহেলা নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবনির্মিত কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগার উদ্বোধন করেন।

সকাল ৭টায় পুরুষ বন্দীদের স্থানান্তরের মধ্য দিয়ে নবনির্মিত কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে বন্দী স্থানান্তরের কার্যক্রম শুরু হয়। ৮টি প্রিজন ভ্যানে করে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নবনির্মিত কারাগারে বন্দীদের নিয়ে যাওয়া শুরু হয়। দুপুর পৌনে ২টায় মহিলা বন্দীদের স্থানান্তরের মধ্য দিয়ে স্থানান্তর কার্যক্রম শেষ হয়।

বর্তমানে কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারের বন্দীর সংখ্যা ১ হাজার ৩৮৪ জন। এর মধ্যে নারী বন্দী ৩৮ জন এবং পুরুষ বন্দী ১ হাজার ৩৪৬ জন।

বন্দী স্থানান্তর কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করতে শহরতলীর খিলপাড়া এলাকার নতুন এবং শহরের গাইটাল বটতলা এলাকার পুরাতন কারাগারে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়। সকাল থেকে পুরাতন কারাগার থেকে নতুন কারাগার পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এরপর পুলিশের চৌকস দলের নেতৃত্বে বন্দীদের নিয়ে যাওয়া হয়।

১৯৪৮ সালে শহরের গাইটাল বটতলা এলাকায় মহকুমা কারাগারের যাত্রা শুরু হয়। ৭০ বছর পর শহরতলীর খিলপাড়া এলাকায় স্থানান্তরিত হলো কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগার। তবে নবনির্মিত কারাগারটি কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগার-১ এবং পুরাতন কারাগারটি কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগার-২ হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের পশ্চিমে সদর উপজেলার মারিয়া ইউনিয়নের খিলপাড়া এলাকায় কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কের পাশে ২৮ একর জায়গার ওপর গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে ৮০০ জন কয়েদী ও হাজতীর ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এই নতুন কারাগারটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটি নির্মাণের জন্য ১৯৯৭ সালে জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। ২০০২ সালে কারাগারের প্যারিমিটার ওয়াল নির্মিত হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০১১ সালে বাদ বাকি স্থাপনা নির্মাণ, আসবাবপত্রসহ সামগ্রিক কাজের প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় ৬৮ কোটি ৩৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। গত বছরের ৩০শে জুন কারাগারটি কারা কর্তৃপক্ষ বরাবরে বুঝিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও কারাগারের সামগ্রিক নির্মাণ কাজ বাকি থাকায় সময়মতো সেটি সম্ভব হয়নি।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: