তিন জেলার মিলনস্থল ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা 

প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০১৯, ০৩:২০ পিএম

পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে প্রায় দুই শত বছরের ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা শুরু হয়েছে। সিলেট-মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ এই তিন জেলার মিলনস্থল নবীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী শেরপুরে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কুশিয়ারা নদীর তীরে তিন দিনব্যাপি এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। প্রায় ২ শত বছরের ঐতিহ্য এ মেলা সিলেটের সবচেয়ে বড় মেলা হিসাবে স্বীকৃতি পেয়ে আসছে।

রবিবার থেকে আগামী মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত চলবে মেলা চলবে। প্রতি বছর এই মেলাটি সার্বজনীন উৎসবে রূপ নেয়, এবারও সে রকম উৎসব লক্ষ্য করা গেছে। মূলত হিন্দু সম্প্রদায়ের পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে মাছের মেলা হলেও এ মেলায় মাছসহ গৃহস্থালী সামগ্রী, হস্ত শিল্প, গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী পণ্য, খেলনা সামগ্রী, নানা জাতের দেশীয় খাবারের দোকান, কাঠের তৈরী ফার্নিচার এবং সব ধরণের পণ্য স্থান পায়।

মেলায় সস্তা দরে জিনিসপত্র ক্রয় করতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতা-বিক্রেতারা এখানে আসেন। কাতল মাছ। ওজন ৬০ কেজি। দাম এক লাখ ২০ হাজার টাকা। মৌলভীবাজারের শেরপুরে ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলায় উঠেছে এ মাছ।  মেলায় হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মাছ ব্যাবসায়ী আব্দুর রহমান প্রায় ১৫ লাখ টাকার বড় বড় বেশ কয়েকটি মাছ নিয়ে এসেছেন। এর মধ্যে তিনি ৬০ কেজি ওজনের কাতলা মাছটির দাম হাকছেন এক লাখ ২০ হাজার টাকা। আব্দুর রহমান জানান, মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওর থেকে এই মেলায় বিক্রি করার জন্য কিনে এনেছেন মাছটি। মাছটির আনুমানিক বয়স ১০ থেকে ১২ বছর। 

এই কাতলার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বড় সাইজের চিতল, রুই, আইড় এবং বাঘ মাছ নিয়ে এসেছেন তিনি। প্রতি বছরের মতো এ বছরও প্রায় দুই শতাধিক মাছের দোকান এবং প্রায় ৩০টি মাছের আড়ত বসেছে মেলায়। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে কয়েক কোটি টাকার মাছ মেলায় বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ীরা। মেলা কমিটির সভাপতি ওলিউর রহমান জানান, উত্তরবঙ্গসহ এই মেলায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বড় বড় কাতল, রুই, আইড়, বোয়ালসহ বিভিন্ন জাত-প্রজাতির মাছ আসে। প্রতি বছর ১৬ থেকে ১৭ কোটি টাকার মাছ ক্রয়-বিক্রিয় হয় এ মেলায়।

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: