বিএনপির কার্যালয় এখন রেস্টুরেন্ট!

প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০১৯, ০৮:৪২ পিএম

আরাফাত হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়া হয়েছে ভবনে। দীর্ঘদিন ধরে এ ভবনে ছিলো ঝালকাঠি জেলা বিএনপির প্রধান কার্যালয়। জানা গেছে ভাড়া বকেয়া থাকা ভবন কর্তৃপক্ষ এ সাইনবোর্ড লাগিয়েছে।

শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) বিকালে শহরের ফায়ার সার্ভিস মোড়ে অবস্থিত বিএনপির এ কার্যালয় থেকে আসবাবপত্র বের করে দেয় মালিকপক্ষ। এরপর সোমবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে ওই কার্যালয়ের সামনে আরাফাত হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট নামের সাইনবোর্ড লাগালে বিষয়টি সংবাদকর্মীদের নজরে আসে।

এ ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে সদর থানায় একটি অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

ঝালকাঠি জেলা বিএনপি কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক ফরিদ হোসেন জানিয়েছেন, গত শুক্রবার জেলা বিএনপির সহসভাপতি মিঞা আহমেদ কিবরিয়া ফোন করে অফিসের চাবি মালিকপক্ষের লোকজনের কাছে দিতে বলেন।

‘সভাপতি ও সম্পাদকের অনুমতি ছাড়া চাবি দিতে অস্বীকৃতি জানাই। পরে মালিকপক্ষ অফিসের তালা ভাঙার চেষ্টা করলে ভবন মালিক মৃত রশিদ মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম ইসলামকে চাবি দিই।’

এর পর তারা অফিসের মালামাল বাইরে বের করে তালা মেরে একটি রেস্টুরেন্টের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন বলে জানান ফরিদ হোসেন।

তিনি আরও জানান, বিএনপির এ অফিসটি কিবরিয়ার নামে চুক্তি করা ছিল। আর ভবনের মালিক কিবরিয়ার বড় ভাইয়ের শ্বশুর।

সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-২ আসনের এই মনোনয়নপ্রত্যাশী নিজেই ভবনের ভাড়া পরিশোধ করেছেন। তবে মনোনয়ন না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে অফিস ছেড়ে দিয়েছেন।

জেলা বিএনপি সভাপতি মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমার কাছে কিবরিয়া সাহেব ফোন করে বলেছেন, ‘আমি অফিস ছেড়ে দিয়েছি, মালিক পক্ষকে ভবন বুঝিয়ে দিতে হবে’।

জেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান খান বাপ্পি বলেন, ‘ এই অফিসটি জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মিঞা আহম্মেদ কিবরিয়ার নামে চুক্তি ছিল। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে হয়তো মালিক পক্ষ তালা লাগিয়েছে। তবে এটা তারা ভালো করেনি। আমাদের জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নুপুর জেল হাজতে রয়েছেন। তিনি বের হলে মিটিং করে কার্যালয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এ বিষয়ে মিঞা আহমেদ কিবরিয়া বলেন, ‘আত্মীয়ের কাছ থেকে এই অফিসটি ভাড়া নিয়েছিলাম। এখন পারিবারিক সমস্যার কারণে অফিসটি ছেড়ে দিতে হয়েছে। অফিসের মালামাল আমার হেফাজতে রয়েছে।’

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: