এমপিদের শপথের বৈধতা নিয়ে রিটের আদেশ আজ

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:৩৫ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত এমপিদের নেয়া শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়েরকৃত রিট আবেদনের উপর শুনানি বুধবার (১৬ জানুয়ারি) শেষ হয়েছে।

রিটকারী ও রাষ্ট্র উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো: আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) এ আবেদনের ওপর আদেশ দেবে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।

গত সোমবার সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে এ রিট করেন। রিটে এমপিদের শপথ বাতিল করে এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করতে আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

শুনানিতে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, দশম সংসদের মেয়াদ শেষ হয়নি এখনও। কিন্তু একাদশ সংসদের নির্বাচিত এমপিদের শপথ দেওয়া হয়েছে। ফলে বর্তমানে দেশে ছয়শতজন এমপি রয়েছেন। এটা সংবিধানের লঙ্ঘন। যদি নির্বাচিত এমপিদের নাম সম্বলিত গেজেটে চলতি মাসের শেষ দিকে করত এবং শপথ পড়ানো হতো তাহলে এ আইনগত প্রশ্ন উত্থাপিত হয় না।

জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, রিট আবেদনকারী এমপি নন, এমনকি সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হননি। ফলে তিনি কীভাবে সংক্ষুব্ধ হয়ে এ রিট দায়ের করলেন? আমি মনে করি রিট আবেদনটি গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্নে সরাসরি খারিজ করা উচিত।

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সংসদ নির্বাচনের পর নির্বাচিত এমপিদের নামের গেজেট ও শপথ নিতে আইনে কোথাও বারিত করা হয়নি। এছাড়া ৩০ জানুয়ারি সংসদ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। সংসদীয় কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী ইতোমধ্যে বিষয়টি সংসদ প্রক্রিয়ার অংশ হওয়ায় এটা কোন আদালতে চ্যালেঞ্জের সুযোগ নেই। শুনানি শেষে হাইকোর্ট আজ আদেশের জন্য দিন ধার্য রাখেন।

গত ৮ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী এমপিদের শপথ বাতিল করে গেজেট প্রকাশের জন্য উকিল নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই নোটিশের কোনো জবাব না পাওয়ায় হাইকোর্টে রিট করা হয়।

রিটে বলা হয়, দশম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষের আগেই একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচিত এমপিদের শপথ দেওয়া হয় গত ৩ জানুয়ারি। এটি সংবিধানের লঙ্ঘন। নির্বাচিত এমপিদের শপথ নেওয়া কেবল বেআইনি হয়নি, তাদের পদের মেয়াদও অবৈধভাবে বৃদ্ধি করে নেওয়া হয়েছে। এতে তারা সংসদ সদস্য পদটিকেও অকার্যকর করে ফেলেছেন। স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: