বিএনপি দুর্বল নাকি ভোটের দিন দুর্বলতা দেখিয়েছে?

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০৭:৩০ পিএম

শেখ হাসিনা নিজেও ভোট নিয়ে বিরক্ত বলে মন্তব্য করেছেন দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের এক টকশো (একুশের রাত) অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘আমার যা মনে হয় শেখ হাসিনার উপরেই একটা প্রেসার। তিনি নিজেই একটু বিরক্ত। নির্বাচনটা এমন হলো কেন? অনেকখানি যে রকম হয়েছে উনি নিজেও সেটা পছন্দ করছেন না। এগুলো আমি ওই ভাবে স্টাবলিশ করতে পারব না। কিন্তু ওনার কাছে- কাছাকাছি অনেকে বলতে গিয়েছিলো যে আমি তো বিশাল ভোটের ব্যাবধানে জিতেছি, তখন এগুলো ওনারা পছন্দ করেন নাই। এতো বিশাল ভোটে তো জেতার কথা না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এগুলো এভাবে ঠিক না।’

নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, আমার ধারণা শেখ হাসিনা এই টার্নটাকে বাংলাদেশে একটা টার্নিং টার্ন হিসেবে নিবেন। ইন টার্নস অব গুড গভর্নেন্স।

তিনি বলেন, এখন যেই ভাষাগুলো প্রধানমন্ত্রী ব্যবহার করেন, গত কয়েকদিন যাবত। এটা তো আনপ্রেসিডেন্ট। এরকম আমরা কখনো শুনি নাই।

এরপর অপর এক প্রশ্নের জবাবে নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, এই যে নির্বাচন এতে উনি (শেখ হাসিনা) নিজেও বিব্রত, আমি ও ব্রিবত। তার বিব্রত হওয়াটা আর আমার বিব্রত হওয়াটার মধ্যে বিশেষ কোন পার্থক্য নেই। কারণ আমি একটা পূর্বাবাস দিয়েছিলাম যে নির্বাচনের ফলাফল কি হবে।

তিনি বলেন, আমার পূর্বাবাস মতো সব হলো কিন্তু ভোটের দিনটাতে সুনামি। এই যে সুনামিটা হলো এটা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো হয়ে গেল।

এটা আমি, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অনেক মানুষের কাছে খটকা। এর কারণ হলো, বিএনপি ওয়ার নট প্রিপেয়ার্ড। এখন বিএনপি বলবে তাদেরকে এই করতে দেয় নাই, সেই করতে দেয় না। এগুলো তো জানা কথা। তাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে আর যাই হোক এটা কি বিশ্বাসযোগ্য যে ঢাকার এমন কোন কেন্দ্র ছিলো যেখানে তারা এজেন্ড দিবে এমন পরিবেশ ছিলো না! এটা কি বললেই কেউ বিশ্বাস করবে?

তিনি উল্লেখ করে বলেন, আমি যে কেন্দ্রে ভোট দিয়েছি সেখানে কোন ঝামেলা ছিল না। শেখ হাসিনা সেন্টারে ভোট দিয়েছে সেখানেও তো বিএনপি দুইজন এজেন্ড থাকতে পারতো। কে বাঁধা দিতো? বাঁধা দিতে গেলেই তো এটা বড় নিউজ হতো।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কেউ চেষ্টা করেছে? আমরা চেষ্টা করতেই দেখি নাই। এতে প্রধানমন্ত্রীও হতভম্ব। তিনি (শেখ হাসিনা) বিস্মিত হয়েছেন।

নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি কি দুর্বল নাকি ভোটের দিন তারা দুর্বলতা দেখিয়েছে? আমরা দেখেছি ভোটের আগে প্রতীক বরাদ্দ পর্যন্ত যেভাবে সমানে-সমানে আলোচনা হয়েছে তা ভোটের সময় গেলো কই? কোথায় ছিলো ব্যাপারটা? এটা অস্বাভাবিক।

তিনি আরও বলেন, আমার মতে বিএনপির তিনটি জায়গায়ই চেষ্টা করা উচিত। কোর্টে, সংসদে এবং রাজপথে। তিনটাই করতে হবে এবং ডায়লগের মধ্যেও গভমেন্টের সাথে থাকতে হবে। যাতে অন্যান্য দলসহ পরবর্তী নির্বাচন সত্যি ভালো হয়।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: