রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত ২৭২

প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ০৩:৪৪ পিএম

নেত্রকোনায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। রোটা ভাইরাসে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সোমবার (২১ জানুযারি) পর্যন্ত ২১দিনে ২৭২ জন আক্রান্ত হয়ে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি। অধিকাংশ সিট ও ফ্লোরে বিছানা করে শুয়ে আছেন দুগ্ধজাত শিশুকে নিয়ে তারে মায়েরা। 

অধিকাংশ শিশুই রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত। নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক নিজামুল হাসান জানান, রোটা ভাইরাসেআক্রান্ত হয়ে প্রায় ১৫০জন শিশু গত ২১ দিনে চিকিৎসা নিয়েছে। সাধারণত দুই বছর বয়সের নিচের শিশুরা রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকে। প্রথমে পাতলা পায়খানা শুরু হয়, পরে তা বারবার হতে থাকে।

সাথে বমি হতে থাকে এবং পায়খানার রং কিছুটা বাদামী বর্ণের মতো হতে দেখা যায়। বার বার পাতলা পায়খানা হওয়ার ফলে এক পর্যায়ে শিশুটির দেহে পানি শূণ্যতার অভাব দেখা দেয় এবং পরবর্তীতে শিশুটি খুবই দুর্বল হয়ে পরে। সাধারণত শীতে এ রোগের প্রাদুর্ভাব একটু বেশী হয়ে থাকে। জেলার প্রায় সব উপজেলাতে এ ভাইরাসটি ছড়িয়ে থাকার কথা জানতে পেরেছেন তিনি।

তবে সদর উপজেলাতে রোটা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবটা লক্ষ্যণীয়। অতিরিক্ত পানি শূণ্যতা বাচ্চাটিকে নিয়ে আসার সাথে সাথে স্যালাইন পুশ করা হচ্ছে। আর যারা স্যালাইন খেতে পারে তাদেরকে খাওয়ার স্যালাইন দেয়া হচ্ছে এবং এর সাথে সাপোর্টেট এন্টিবায়োটিক দেয়া হচ্ছে। শিশুটি যাতে দুর্বল না হয়ে পরে তার জন্য আক্রান্ত বাচ্চাটিকে বার বার খাওয়ানোর পরামর্শ দেয়া হচ্ছে তাদের মা-বাবাকে। 

নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের দায়িত্বরত সিনিয়র নার্স জেসমিন আক্তার জানান, জানুয়ারীর ১ থেকে সোমবার পর্যন্ত ২৭২ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। শীত মৌসুমে এ রোগের প্রাদুর্ভব বছরের অন্য সময়ের তুলনায় একটু বেশি হয়। 

সদর উপজেলার মৌগাতি ইউনিয়নের চুচুয়া মারাদীঘি গ্রামের আবদুল কাদির জানান, তার শিশু কন্যা খাদিজার প্রথমে পাতলা পায়খানা দেখা দেয়। পরে তা ঘন ঘন আকার ধারন করে। পরে হাসপাতালে নিয়ে যান। গত চারদিন ধরে হাসপাতালে আছেন। 

কালিয়া গাবরাগাতি ইউনিয়নের ঢেউডুকুন গ্রামের ফিরোজা আক্তার জানান, তার বাচ্চাটিকে হাসপাতালে ভর্তি  করেছেন। প্রায় এক সপ্তাহ আগ থেকে পাতলা পায়খানা শুরু হয়েছিল। এ হাসাপাতালে চারদিন থাকার পর সুস্থ হলে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। পুনরায় পাতলা পায়খানা দেখা দেয়ায় বাচ্চাটিকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করেন।

নেত্রকোনা সিভিল সার্জন ডা. মো. তাজুল ইসলাম খান বলেন, শীতের সময় এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমান স্যালাইন ও ওষুধ রয়েছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রোগী হাসপাতালে আসছে চিকিৎসা নিয়ে চলে যাচ্ছে। বড় ধরনের কোন সমস্যা হয়নি।

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: