নিহত বিএনপি নেতার পরিবারকে লাখ টাকা সহায়তা

প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:২৭ পিএম

লালমনিরহাটে নিহত বিএনপি নেতা তোজাম্মেল হকের পরিবারে হাতে ১ লাখ ৬ হাজার টাকা তুলে দিয়েছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা।

সোমবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে নিহতের কবর জিয়ারতে এসে এই আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঐক্যফ্রন্ট নেতা জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

নিহত তোজ্জাম্মেল হকের স্ত্রী গোলাপজান ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের কাছে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। এ সময় তিনি তার স্বামী হত্যার বিচার দাবি করেন।

নিহতের ছেলে ও হত্যা মামলার বাদী মোস্তাফা বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা আমার বাবাকে খুন করেছে। আমি ন্যায়বিচার পেতে আদালতে মামলা করেছি।’

এরপর লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের পাগলার হাট এলাকায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা।

এ সময় একাদশ নির্বাচনে প্রশাসনকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ নির্বাচন জনগণ মেনে নেয়নি। আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে নামাতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে এই ক্ষমতাসীন সরকারকে সরিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে ভোট দাবি করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি আরও বলেন, বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের নামে প্রায় ৯৮ হাজার মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি ২৬ লাখ।

প্রতিবাদ সভায় ঐক্যফ্রন্ট নেতা জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, তোজাম্মেলের কী অপরাধ ছিল। তার অপরাধ তিনি ধানের শীষের লোক ছিলেন। তিনি ধানের শীষে ভোট দিতে এসেছিলেন বলে আওয়ামী লীগের লোকেরা তাকে হত্যা করেছে।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেন, এ রকম নির্বাচন পৃথিবীর কোথাও হয়নি। জনগণ এই নির্বাচন মেনে নেয়নি। তাই এই নির্বাচন বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আন্দোলন ছাড়া আর কোনো পথ নেই। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে নামাতে হবে।

প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন সকাল ৮টার দিকে তোজাম্মেল হকসহ কয়েকজন ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছিলেন।

পথে রাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন তার বাড়ির সামনে তাদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেন।

এতে দুপক্ষের কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে তোজাম্মেল হককে মারপিট ও পেটে ছুরি মারা হয়। পরে তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান।

এ ঘটনায় ১ জানুয়ারি লালমনিরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন নিহতের ছেলে মো. মোস্তফা।

আসামিরা হলেন ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন, মোজাম্মেল হোসেন মাস্টার, আঙুর মিয়া ও তার ভাই লেবু মিয়া, সিদ্দিক আলী, শাহীন, মহসিন আলী, জাহাঙ্গীর আলম ও মজি।

পরে আদালতের নির্দেশে সদর থানায় ৯ জানুয়ারি মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: