নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা, বাচাঁলো সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা

প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০১৯, ০৫:৫৫ পিএম

রাজধানীর বনানী আমতলীতে এক নারীকে যৌন আক্রমণ থেকে রক্ষা করেছেন করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) তাপস কুমার দাস। মারাত্মক জখম ওই নারীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালেও নিয়ে যান তিনি। ঘটনাস্থল থেকে আলমগীর নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে বনানী থানায় পাঠান তাপস।

বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ছয়টার দিকে ওই ঘটনা ঘটে। আক্রান্ত নারী বেসরকারী টিভি চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের নিরাপত্তাকর্মী।

এ ঘটনায় বনানী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা (নং-২১) দায়ের করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, প্রতিদিনের মত বুধবার সকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশে রওনা হন ওই নারী। বনানীর আমতলী ক্রসিংয়ের রাস্তার পূর্ব পাশের চায়ের দোকানের সামনে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। এমন সময় হঠাৎ করে সেখানে এসে আলমগীর নামের এক ব্যক্তি তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করে। নানাভাবে শ্লীলতাহানিও করে সে। বাধা দিলে তার নাকে-মুখে আঘাত করে। আঘাতে মেয়েটি মাটিতে পড়ে যায়।

‘পরে আলমগীর আবারো লাঠি দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। সেসময় তার চিৎকার শুনে টহলে থাকা অতিরিক্ত উপ-কমিশনার তাপস কুমার দাস তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’

জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা তাপস কুমার দাস গণমাধ্যমকে বলেন, আমি গুলশান ডিভিশনের সেন্ট্রাল ছয়টা থানার নাইট রাউন্ডে ছিলাম, ভোরে বনানী ক্রস করে আমতলী দিয়ে যাচ্ছিলাম; দূর থেকে এক মহিলার চিৎকারের আওয়াজ শুনি। দেখলাম, এক ছেলে মহিলাকে লাঠি দিয়ে পিটাচ্ছে।

‘চিৎকার শুনেই আমি গাড়ি ঘুরাই। এরপর আমার বডিগার্ড-ড্রাইভারসহ নেমে দৌড়ে ছুটে যাই, আমরা তিনজন গিয়ে ছেলেটাকে ধরি, মারের আঘাতে মহিলার ঠোঁট দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। আমরা তাকে দ্রুত কুর্মিটোলা হাসপাতালে পাঠাই। একই সময় আসামি আলমগীরকে বনানী থানায় পাঠিয়ে দেই।’

&dquote;&dquote;

হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে আহত নারীর সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, ওই নারী চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কর্মরত। অফিসের গাড়ি মিস করে তিনি বাসের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। সেসময় তিনি যৌন হেনস্তার শিকার হন।

তাপস কুমার দাস জানান, আসামি মো. আলমগীর (২৪) কড়াইল বস্তিতে মাছের ব্যবসা করে। বস্তির বৌ-বাজারে তার বাসা। গ্রামের বাড়ি শেরপুর। আলমগীরের পিতার নাম আশরাফ আলী।

বনানী থানা পুলিশ জানিয়েছে, আসামিকে আদালতে পাঠানো হবে।

চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহানশা নিলয় গণমাধ্যমকে বলেন, আহত নারীর ঠোঁটে ছয়টি সেলাই পড়েছে, কুর্মিটোলা হাসপাতাল থেকে তাকে অফিসে আনা হয়েছে। এখন তিনি কিছুটা সুস্থ।

বিডি২৪লাইভ/এসএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: