একক প্রার্থী চায় কেন্দ্র, তবে ৩ জনের অধিক নয়

প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০১৯, ০৮:৫৭ এএম

আসন্ন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তিনটি পদের জন্য দল থেকে মনোনয়নের জন্য সর্বোচ্চ তিনজন করে নয়জন প্রার্থীর তালিকা পাঠাতে তৃণমূল কমিটিগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান-এ তিন পদে এ নির্বাচন হবে।

আওয়মী লীগ সাধারণ সম্পাদক গত (১৩ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি তবে বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দল আমাদের পরাজিত করতে পারবে না। তবে আমরা চাচ্ছি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মত এবারের উপজেলা নির্বাচনেও একক প্রার্থী বাছাইয়ে সচেষ্ট থাকবো। আশা করি দল যাদের মনোনয়ন দিবে নেতাকর্মীরা তাদের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করবে। কোন ভেদাভেদ সৃষ্টি করবেন না।

এসব পদে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে আগামী ২৬ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভা হবে। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভায় উপজেলা পরিষদ ছাড়াও সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে দলীয় প্রার্থীও চূড়ান্ত করা হবে।

আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু করে কয়েক ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ইতোমধ্যে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথাও জানিয়েছে কমিশন।

উল্লেখ্য, এবারই প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে স্ব স্ব দলের প্রতীকে। তবে ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে ভিন্ন ভিন্ন প্রতীকে।

গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের সাফল্য ধরে রাখতে এরই মধ্যে শুরু হয়েগেছে উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি। দলীয় প্রতীকে চেয়ারম্যান পদ ছাড়াও অন্য দুটি ভাইস চেয়ারম্যান পদেও একক প্রার্থী নিয়ে মাঠে নামতে চায় এই দল।

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী বাছা্ই প্রক্রিয়া শুরু করতে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত একটি চিঠিটি পাঠানো হয়। দলের সব জেলা-উপজেলা কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক-যুগ্ম আহ্বায়কদের কাছে পাঠানো এ চিঠিতে বলা হয়েছে, উপজেলা নির্বাচনের প্রতিটি পদে একক অথবা তিনজন প্রার্থীর নামের সুপারিশ-সংবলিত একটি প্যানেল তৈরি করতে হবে। চিঠিতে প্রার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় তৃণমূলকে কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ময়মনসিংহ জেলা আওয়মী লীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিন মন্তা প্রতিবেদকে বলেন, আমরা কেন্দ্রের চিঠি পেয়েছি। কেন্দ্র যা নির্দেশনা দিয়েছে সেভাবেই প্রার্থী বাছাইয়ে কাজ করবে জেলা ও উপজেলা। তবে যারা বহু বছর ধরে রাজনীতি করছে, তাদেরকেই উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়ার কথার সুপারিশ করা হবে। তিনি আরও বলেন চেষ্টা থাকবে একক ভাবে কাউকে মনোনয় দেয়ার। সেক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে ৩ জনের নাম পাঠানো হবে কেন্দ্রে। এবং তৃণমূলে ভোটের ব্যবস্থাও করা হবে বলে তিনি জানান। আমি নিজেও ময়মনসিংহ সদর উপেজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী। আপনি জেনে খুশি হবেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে সারা বাংলাদেশে শ্রেষ্ঠ হয়েছিলাম।

উল্লেখ্য, উপজেলা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ইচ্ছুক প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরমের মূল্য চেয়ারম্যান পদে ২০ হাজার টাকা এবং ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচ হাজার টাকা করে নির্ধারণ করা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে কানাঘুষা চলছে, সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বহু প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া যায়নি। তাদের অনেকেই এবারের উপজেলা নির্বাচনে দলরে টিকেটে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন তা একপ্রাকার নিশ্চিত।

গৌরিপুর উপজেলার ক্ষমতাসীন দলের সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা আওয়মী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফ হাসান অনু বলেন, আমি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলাম কিন্তু দল আমাকে মনোনয় দেয়নি। দল যাকে মনোনয়ন দিয়েছে তার পক্ষেই কাজ করেছি। ২০১৪ সালে উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের প্রার্থী হয়ে আমি নির্বাচন করে ছিলাম। স্বল্প ভোটের ব্যবধানে আমি পরাজিত হয়েছিলাম। আবার দল আমাকে উপজেলার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী করবে এবং আমি শতভাগ আশাবাদী জয়ী হয়ে দেশরত্ন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবো।

বিডি২৪লাইভ/এসবি/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: