‘ডা. জাফরুল্লাহ বিএনপির কেউ না’

প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০১৯, ০৪:৩৩ পিএম

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দুই বছর রাজনীতি থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকার দিয়েছেন- তাতে দলীয় নেতাকর্মীরা প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

রিজভী বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিএনপির কেউ না, তিনি দলের একজন শুভাকাঙ্ক্ষী। এ ধরনের বক্তব্য তিনি মিডিয়ায় না দিয়ে দলীয় ফোরামে বলতে পারতেন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে দল সুসংগঠিত এবং ঐক্যবদ্ধ আছে।

আজ শনিবার (২৬ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ আছে- দাবি করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগতো ভেতর থেকে ভেঙে চুপসে গেছে। সে কারণে তাদের  পুলিশের ওপর নির্ভর হয়ে রাতের আঁধারে জাল ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স পূর্ণ করতে হয়েছে।

বিএনপির অবস্থা মুসলিম লীগের মতো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, তাকে বলতে চাই, শকুনির দোয়ায় গরু মরে না। বিএনপিকে নিয়ে তার এই মাথাব্যথা বিস্ময়কর মনে হচ্ছে। এটা মায়ের চেয়ে মাসীর দরদ বেশির মতো।

গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটে জনগণ কিংবা আওয়ামী লীগের বিজয় হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, বিজয়ী হয়েছে জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শওকত মাহমুদ, বিএনপি নেতা আবদুস সালাম আজাদ,  মুনীর হোসেন, বেলাল আহমদ, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

সম্প্রতি ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এর আগে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঐক্যফ্রন্টের নেতা দুই বছরের জন্য তারেককে দল থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়ে নতুন আলোচনা তৈরি করেছেন।

তারেক রহমানের কেন রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাওয়া উচিত এমন প্রশের জবাবে জাফরউল্লাহ বলেন, তারেকের নাম ভাঙিয়ে এখানে অনেকে খাচ্ছে। ফোনেও কিছু করা যাচ্ছে না, সব ফাঁস হচ্ছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, তারেক জিয়া হয়তো ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী। এ জন্য তার চুপ করে থাকাটাই ভালো। উনি ওখানে (যুক্তরাজ্য) বসে একটা মাস্টার্স ডিগ্রি করুন। পরে এলে উনি দায়িত্ব নিতে পারবেন।’

যেহেতু তিনি দেশে আসতে পারছেন না। তার নাম ভাঙিয়ে অনেকে খাচ্ছে, এ সুযোগ না দিয়ে, ওখানে একটা ডিগ্রিও করল। আবার সার্বিক বিষয় অবজার্ভও করল। তাতে বিএনপি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে মনে করি।

কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে বিএনপি এমন প্রশ্নে নিজের ব্যক্তিগত মতামত তুলে ধরে ঐক্যফ্রন্টের এই নেতা বলেন, বিএনপির ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য এই মুহূর্তে জরুরি কাউন্সিল করা দরকার। কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আসুক, চেয়ারম্যান হিসেবে খালেদা জিয়াই থাকুক। ওনার পরামর্শ নিয়ে বিএনপি সামনে এগিয়ে যাবে। নতুন লিডারশিপ আসুক, তাতে মঙ্গল হবে। এই মুহূর্তে তারেক রহমানের চুপ করে থাকাটাই উচিত বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। এভাবে এগিয়ে গেলে বিএনপি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: