যে কোনও শত্রুদের কাঁদিয়ে ছাড়বে বাংলাদেশের এইসব বাহিনী!

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১২:৪৫ এএম

সারাদিন কাজ শেষে ঘরে এসে পরিবার নিয়ে শান্তিতে ঘুমান আপনি। কিন্তু আপনার শান্তির ঘুম নিশ্চিত করতে নিজের শান্তি বিসর্জন দিচ্ছেন আমাদের বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা।

নিজেদের পরিবার-পরিজন ছেড়ে নিজের জীবন বিলিয়ে দিচ্ছেন আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। তারা সবসময় প্রস্তুত থাকে শত্রুর হাত থেকে দেশ রক্ষার্থে।

প্রিয় পাঠক, আজকে আপনাদের কাছে তুলে ধরবো বাংলা মায়ের দামাল ছেলেদের আজানা কিছু তথ্য। এমনকি যে কোনও শত্রুদের কাঁদিয়ে ছাড়বে বাংলাদেশের এইসব বাহিনী।

&dquote;&dquote;১. চিতা: ১নং প্যারা-কমান্ডো ব্যাটেলিয়ান (আরো পরিচিত চিতা নামে) হচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সর্বোৎকৃষ্ট একটি কমান্ডো দল। ১৯৭৬ সালে স্পেশাল এয়ার সার্ভিস থেকে উৎসাহিত হয়ে এ বাহিনীকে তৈরি করা হয়েছিল। ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিসান হামলায় 'অপারেশন থান্ডারবোল্ট' পরিচালনা করে এই দক্ষ বাহিনী।

&dquote;&dquote;২. প্যারা কমান্ডো ব্যাটেলিয়ান: প্যারা-কমান্ডো ব্যাটেলিয়ন হচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ অপারেশন কমান্ডো দল। ২০১৬ সালে এই বাহিনীকে তৈরি করা হয়েছিল। ২০১৭ সালের ২৩ র্মাচ সিলেটের অপারেশন টুইলাইট পরিচালনা করে এই বাহিনী।

&dquote;&dquote;৩. ব্ল্যাক ঈগল ব্যাটেলিয়ান: ব্ল্যাক ঈগল ব্যাটেলিয়ান বাংলাদেশের সবচেয়ে ভয়ংকর ও দূর্দশকর স্নাইপার ইউনিট। এরা এমনভাবে ট্রেনিং প্রাপ্ত যে শত্রুপক্ষ যদি এদের উপর দিয়ে হেটে যায় তবুও তারা বুঝতে দিবে না যে তারা শত্রুপক্ষের নিচে আছে।

&dquote;&dquote;৪. সোয়াডস: স্পেশাল ওয়ারফেয়ার ডাইভিং অ্যান্ড স্যালভেজ কিংবা সোয়াডস বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি বিশেষ পরিশাখা। সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশের এই একটা ফোর্স সর্ব বিবেচনায় অগ্রণী। ২০০৯ সালে এই বাহিনীকে তৈরি করা হয়েছিল। সোয়াডস এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক কোন উল্লেখযোগ্য সামরিক অভিযানে নিয়োজিত হয়নি। তাদের ট্রেনিং সবচেয়ে সেরা, সবচেয়ে আধুনিক, সবচেয়ে ভয়ঙ্কর, সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।

&dquote;&dquote;৫. স্কোয়াড্রন ৪১: স্কোয়াড্রন ৪১ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি বিশেষায়িত ইউনিট। ঘাটি প্রতিরক্ষা ও পাইলট উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এ বাহিনী গঠিত হয়েছে।

&dquote;&dquote;৬. সোয়াট: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি অভিজাত কৌশলী ইউনিট সোয়াট টিম। ২০০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি এ বাহিনীকে তৈরি করা হয়েছিল। আমেরিকার সোয়াট টিমের আদলে, তাদেরই অর্থায়নে, তাদেরই ট্রেনিংয়ে এবং তাদেরই সব ইক্যুইপমেন্টে সজ্জিত হয়ে বাংলাদেশেও যাত্রা শুরু করে।

&dquote;&dquote;৭. র‌্যাব: র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন বা র‌্যাব বাংলাদেশের আভ্যন্তরিক সন্ত্রাস দমনের উদ্দেশ্যে গঠিত চৌকস বাহিনী। ২০০৪ সালের ২৬ মার্চ এ বাহিনীকে তৈরি করা হয়েছিল। একই বছরের ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ) তাদের কার্যক্রম শুরু করে।

&dquote;&dquote;৮. সিটিআইবি: কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো বা সিটিআইবি। পৃথিবীর বড় বড় অ্যান্টি টেররিজম অর্গানাইজেশনের সঙ্গে সহযোগিতামূলক আদান-প্রদান হয় ট্রেনিংয়ে। এদের কাজের ক্ষেত্র শুধু বড় আয়তনের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস নিয়ে ডিপকাভার তদন্ত, প্রয়োজনে আরো ডিপ আক্রমণ।

&dquote;&dquote;৯. এসএসএফ: স্পেশাল সিকউরিটি ফোর্স বা এসএসএফ। এদের কাজের ধরণ সরকারপ্রধানের নিরাপত্তার বিশেষায়িত বাহিনী। একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের অধীনে গঠিত ছিল, বর্তমানে মেজর জেনারেলের অধীনেও কাজ করে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা, গোয়েন্দা নজরদারি, সফর সঙ্গী হওয়া এদের কাজের ক্ষেত্র।

১০. এনএসআই: জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা। ন্যাশনাল সিকউরিটি ইন্টেলিজেন্স। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা মহাপরিদফতর। ডাইরেক্টরেট জেনারেল অভ ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স। যুগযুগ ধরে এই বেসামরিক সংস্থাটি বাংলাদেশের প্রাইম গোয়েন্দা সংস্থা ছিল। দেশের প্রতিটা জেলায়, প্রতিটা থানায় রয়েছে অফিস। সমস্ত কিছু হয় গোপনে। এমনকি তাদের হেডকোয়ার্টারও পুরোপুরি আন্ডারকাভার। তাদের কাজের ধরণ রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও অখন্ডতা, বাইরের দেশের হুমকির বিষয়গুলি দেশের ভিতরে ট্যাকল করা, কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স। গোয়েন্দা তথ্য জোগাড় করে তা বিশ্লেষণ করা ও প্রয়োজন অনুসারে সরকারকে জানানো। তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া এবং ইন্টারনেট।

বিডি২৪লাইভ/এআইআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: