স্ত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় ধরা, ‘পুরুষাঙ্গ’ কেটে দিল ভায়রা

প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারি ২০১৯, ০৮:৫৯ এএম

নিজের স্ত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে ভায়রার ‘পুরুষাঙ্গ’ কাঁচি দিয়ে কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে এক স্বামীর বিরুদ্ধে। পরে কাটা যৌনাঙ্গ নিয়ে আহত ওই ব্যক্তির ভায়রা শাহজাহান মোল্লাকে হাসপাতালে দুইদিন অপেক্ষার পর তৃতীয় দিন ভর্তি করা হয়।

ততক্ষণে অনেক দেড়ি হয়ে গেছে- এ কারণে শরীর থেকে ছিন্ন ‘পুরুষাঙ্গ’ আর শরীরের সঙ্গে জোড়া দেয়া সম্ভব হয়নি।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জয়নগর শহরে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে। 

জানা যায়, ৬ মাস আগে উলুবেড়িয়া থেকে জয়নগরে ভায়রা ভাই শাহজাহানের বাড়িতে সস্ত্রীক আসেন অভিযুক্ত শফিক মিদ্দা (৪৫)।

ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আহত শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, ভায়রা ভাই শফিকের স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করেন তিনি। গত সোমবার রাতে শাহজাহানকে স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন, এরপর ধান কাটার কাঁচি নিয়ে তার (শাহজাহানের) পুরুষাঙ্গ কেটে দেন শফিক।

পরে রক্তাক্ত শাহজাহান মোল্লার চিৎকারে স্থানীয় এলাকাবাসী জড়ো হয়ে অভিযুক্ত শফিককে প্রচণ্ড মারধর করেন।

এ ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় শফিককে পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে শফিকের দাবি নাকজ করে দিয়েছে শাহজাহান মোল্লা। তিনি বলেন, ‘আমি নির্দোষ। আমার স্ত্রীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ওই কাজ করেছে শফিক।’

গত সোমবার রাতের ওই ঘটনার পর আহত শাহজাহানকে নিয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরে হয়রান হতে হয়। কাটা পুরুষাঙ্গ থলিতে করে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবককে প্রথমে গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে বারুইপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে পার্ক সার্কাসের চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে গভীর রাতে এসএসকেএম রেফার করা হয়।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, হাসপাতালে বেড খালি নেই বলে শাহজাহানকে পিজি থেকে ফের চিত্তরঞ্জন যেতে বলেন চিকিৎসক।

শাহজাহানের অভিযোগ, ‘এরপর থেকে মঙ্গলবার রাত অবধি এসএসকেএম হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বাইরে ঠায় বসে থাকতে হয়।’

গত বুধবার রাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরে আসায় জরুরি পর্যবেক্ষণে শাহজাহানের অবস্থা স্থীতিশীল হলেও তার পুরুষাঙ্গ শরীরে জুড়ে দেয়া সম্ভব হয়নি।

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: