সুন্দরীরাই টার্গেট

প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি ২০১৯, ০৮:৫২ এএম

গরিব ও অসহায় পরিবারের সুন্দরী নারী এবং শিশুদেরই টার্গেট করত তারা। ভালো চাকরির প্রলোভনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সিলেটে নিয়ে আসত তাদের। পরে জিম্মি করে বাধ্য করত ইয়াবা সেবন ও পতিতাবৃত্তিতে।

গত শনিবার (২৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে সিলেট নগরের দাড়িয়াপাড়া এলাকার মেঘনা এ-২৬/১ নং বাসায় অভিযান চালিয়ে অপরাধীদের এমন একটি নেটওয়ার্কের সন্ধান পেয়েছে র‌্যাব। ওই বাসা থেকে নেটওয়ার্কের মূলহোতা পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) ও তার কথিত স্ত্রীকে আটক করেছে। এসময় ওই বাসা থেকে ১২ ও ১৩ বছর বয়েসের দুই মেয়েকেও উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

আটককৃতরা হলেন- সিলেট নগরীর মুন্সিপাড়ার মৃত আবদুল রশিদের ছেলে রোকন উদ্দিন ভুইয়া (৪০) ও নেত্রকোনার কালিয়াজুড়ি থানার আটগাঁওর মৃত মফিজুল মিয়ার মেয়ে রিমা বেগম (৩৫)। তারা নগরীর মেঘনা এ-২৬/১ নম্বর বাড়ির নিচতলায় বসবাস করত। রোকন উদ্দিন ভূইয়া সিলেটের লালাবাজার ৭ আর্মড ব্যাটালিয়নে এসআই পদে কর্মরত রয়েছেন। রিমা বেগমকে স্ত্রী পরিচয়ে ওই বাসায় রেখে বসবাস করে আসছিলেন।

র‌্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. মনিরুজ্জামান জানান, দাড়িয়াপাড়ার মেঘনা এ-২৬/১ নম্বর বাড়ির নিচতলায় নারী ও শিশুদের আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা এবং ইয়াবা ব্যবসা হচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযান টের পেয়ে অপরাধী নেটওয়ার্কের কয়েকজন পালিয়ে গেলেও দুজনকে আটক করতে সক্ষম হয় র‌্যাব।

মনিরুজ্জামান আরও জানান, রোকন উদ্দিন ও রিমা বেগম ভালো চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরিব, অসহায় এবং সুন্দরী নারী ও শিশুদের এনে জোর করে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করতেন। এ ছাড়া তারা নগরীর বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা সরবরাহ করতেন। ওই নেটওয়ার্কের অন্য সদস্যদের ধরতেও অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, আটক মো. রোকন উদ্দিন ভূঁইয়া বাংলাদেশ পুলিশের এসআই, বর্তমানে তিনি ৭ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, লালাবাজার, সিলেটে কর্মরত আছেন। তার সঙ্গে জড়িত রিমা বেগম অবৈধভাবে স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে দাড়িয়াপাড়া মেঘনা এ-২৬/১ ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।

বিডি২৪লাইভ/এআইআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: