ভয়ঙ্কর মুন্নির বিয়ে ফাঁদ!
মামুনুর রশিদ চঞ্চল। দুই ভাই এক বোন আর বাবাকে নিয়ে তার সংসার। রশিদের বাবা চাকরি করতেন পোস্ট অফিসে। ২০০৬ সালে বিয়ে করেন সৌদি প্রবাসী রশিদ। তবে কিছুদিন বাধেই তার ডিভোর্স হয়ে যায়।
১৯৯৯ সাল থেকে বিদেশ থাকেন রশিদ। ২০০৬ সালের বিচ্ছেদের পর থেকে দীর্ঘদিন দেশে ফেরেননি তিনি।
এরপর ২০১৩ সালে দেশে ফেরেন রশিদ। এসময় তিনি ছিলেন একাই। ডিভোর্সের পর আর বিয়ে করেননি রশিদ।
বিদেশ ফেরত রশিদ বেড়াতে যান তার কাজিনের বাসায়। সেখানে তার সাথে দেখা হয় মুন্নি আক্তার নামে এক নারীর সাথে। যিনি ব্যাংকে চাকরি করতেন। দেখা হওয়ার পর রশিদের ফোন নম্বর চেয়ে নেন মুন্নি এবং রশিদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান।
সরল রশিদ মুন্নিকে জানান তার পরিচয়। সাথে দেন ফোন নম্বরও। এক পর্যায়ে নিয়মিত কথা হতে থাকে তাদের।
একদিন মুন্নি তার অফিসে কফির আমন্ত্রণ জানায় রশিদকে। এরপর রশিদ যখন মুন্নির অফিসে যায় তখন মুন্নি রশিদকে তার ভালোবাসার কথা জানান। আর বলেন, রশিদের মতো তিনিও ডিভোর্সী। রশিদ চাইলে তারা বিয়ে করতে পারেন। মুন্নি জানান, তিনি তার বড় ভাইয়ের কাছে থাকেন। তার বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই।
এরপর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় রশিদ আর মুন্নি। কেটে যায় কয়েকমাস। এরপর মুন্নি জানান তার আগের স্বামী মুন্নির বিয়ের বিষয় জেনে গেছেন এবং সে রশিদকে মেরে ফেলবে। কেন সে মুন্নিকে বিয়ে করেছে। তার স্বামী সাজ্জাদ একজন সিরিয়াস কিলার। সাজ্জাদের নামে ২০টা খুনের মামলা রয়েছে।
তখন মুন্নি এক রকমের জোড় করেই রশিদকে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়। এরপর বিদেশ থেকে বেশ কয়েকবার ফিরতে চাইলেও রশিদকে ফিরতে নিষেধ করেন মুন্নি। মুন্নি বলেন, রশিদের ক্ষতি করতে পারে সাজ্জাদ।
এরপর হঠাৎই মুন্নি একদিন রশিদকে ফোনে জানায়, তার বাবা-মা আছে। আর রশিদকে সে মিথ্যা কথা বলেছে। কারণ রশিদের সঙ্গে বিয়ের কথা বললে মুন্নির বাবা-মা তার আর রশিদের বিয়ে দিতো না। বিষয়টা সহজভাবে মেনে নেয় রশিদ।
এরপর ২০১৫ সালে বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আসে রশিদ। এসে রশিদ জানতে পারে তাদের ফ্ল্যাট কৌশলে তার বাবার কাছ থেকে লিখে নিয়েছে মুন্নি। এ বিষয়টি রশিদ থানায় জানাতে গিয়ে দেখতে পান উল্টো তার নামে আগেই থানাতে অভিযোগ করেছেন মুন্নি। কি করবে ভেবে পায় না রশিদ। ফিরে আসেন বাসায়।
এসে দেখতে পান তার ঘরের মূল্যবান দ্রব্য, বিদেশ থেকে তার আনা স্বর্ণ, নগদ টাকা কিছুই নেই। এছাড়া রশিদের চেক দিয়ে ব্যাংক থেকেও টাকা তুলে ফেলেছে মুন্নি।
আকাশ ভেঙে পড়ে রশিদের মাথায়। এরপর তার সাথে দেখা হয় মুন্নির আগের স্বামীর সাথে। জানতে পারেন সাজ্জাদের সাথেও একই ধরণের প্রতারণা করেছিল মুন্নি। এরপর বাবাকে নিয়ে পথে নামতে হয় রশিদকে। মুন্নির মামলায় জেলও খেটেছেন হয় রশিদ।
(এই লেখাটি বেসরকারি একটি টেলিভিশনের ফাঁদ অনুষ্ঠানের অবলম্বনে করা)
বিডি২৪লাইভ/এইচকে/এমআর
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: