কে এই হারকিউলিস?
হারকিউলিস কে? এমন প্রশ্ন আমাদের মাঝে ঘুরপাক খায় আমরা অনেকেই জানিনা হারকিউলিস কে ছিলেন তাহলে জেনে নেই। হারকিউলিস ছিলেন গ্রীক পুরাণ অনুযায়ী গ্রীসের সর্বশ্রেষ্ঠ বীর। তিনি যেমন সাহসী, শারীরিক শক্তি সম্পন্ন ছিলেন, তেমনি ছিলেন দয়ালু। প্রকৃতপক্ষে হারকিউলিস হলো গ্রীক বীর ‘হেরাক্লেস’ এর রোমান পুরাণের নাম। গ্রীকরা তাকে দেবতা এবং মর্তের বীর এই দুই পরিচয়েই পূজা করতো।
ইতিবাচক-নেতিবাচক অনেক বীরত্বের গল্প আছে তার। বিদেশি পুরাণের এই বীর চরিত্র হঠাৎই বাংলাদেশে আলোচনায়। বাংলাদেশে ‘হারকিউলিস’ নামের এক চরিত্র ধর্ষণ মামলার আসামিদের হত্যা করে চলেছেন। কি করতে চাচ্ছে এই বাংলাদেশের হারকিউলিস।
লাশের গলায় ঝুলানো থাকছে চিরকুট। চিরকুটের দাবিমতে, ওই হত্যাকাণ্ডটি হারকিউলিস ঘটিয়েছে।
ঘটনার শুরু গত ১৭ জানুয়ারি। রাজধানী ঢাকার অদূরে সাভার থেকে একজন নারী গার্মেন্টস শ্রমিককে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় মূল সন্দেহভাজন রিপনের (৩৯) গলায় চিরকুট ঝোলানো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে ৭ জানুয়ারি রিপন ও অপর তিন সহকর্মীর বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়েরের পর আশুলিয়ার বেরুন এলাকায় নিজ বাড়িতে ১৮ বছর বয়সী ওই নারীর লাশ পাওয়া যায়। এরপর ওই নারীর বাবা তার মেয়েকে হত্যার ঘটনায় রিপন ও অপর তিনজনকে অভিযুক্ত করে আশুলিয়া থানায় অপর একটি মামলা করেন।
এরপর ১৮ জানুয়ারি ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা থেকে রাকিব (২০) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার গলায়ও ঝোলানো ছিলো চিরকুট। তিনিও সন্দেহভাজন ধর্ষণকারী।
নিহত রাকিব একজন মাদ্রাসা ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ভান্ডারিয়া থানায় দায়েরকৃত মামলার আসামি ছিলেন। রাকিব ভান্ডারিয়ার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাকিবের লাশটি পাওয়া গেছে। সম্ভবত কয়েক ঘণ্টা আগে তাকে গুলি করা হয়েছিলো।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তবে হারকিউলিসের ব্যাপারে তিনি অন্ধকারে আছেন বলে জানান ওসি জাহিদুল।
এরপরের ঘটনা ঘটে ২৪ জানুয়ারি। ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলায় গলায় চিরকুট ঝোলানো সজলের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সন্তান হত্যার ঘটনায় গত ২৬ জানুয়ারি সজলের বাবা শাহ আলম জমাদ্দার কাঠালিয়া থানায় একটি মামলা করেন বলে জানান ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক। তিনি বলেন, ‘এই মামলায় ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীর বাবাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।’
প্রাথমিক তদন্তের বরাতে ওসি বলেন, ‘গত ২২ জানুয়ারি ঢাকা থেকে সজলকে অপহরণ করা হয়। পরে তাকে গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করা হয়।’ এ মামলাটিও তদন্তের আওতাধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
এসব ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে জানিয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা বলেন, ‘এভাবে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটানো এবং চিরকুট রেখে যাওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে। এ ধরণের ঘটনা কোনো ঘটছে তা আমাদের খুব সাবধানে বিশ্লেষণ করে দেখা উচিত।’
বিডি২৪লাইভ/এআইআর
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]





পাঠকের মন্তব্য: