২০টি ভূতের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন এই নারী!

প্রকাশিত: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১০:০৩ এএম

অশুভ প্রেতাত্মা কিংবা ভূত যাই বলেন না কেন, এতে পুরোপুরি অবিশ্বাস আনতে পারে না মানুষ। বিশেষ করে যারা ব্যাখ্যাতীত এবং অপ্রাকৃতিক ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন তারা এমন কিছু আছে বলেই বিশ্বাস করেন। এর পেছনে বিজ্ঞান কী ব্যাখ্যা দেয় তা পরের বিষয়। অনেস সুস্থ-সবল মানুষ সুস্থ মস্তিষ্কে এসব ঘটনা চোখের সামনে দেখেছেন বলে অনেক গল্প রয়েছে।

ভূত! শব্দটি শুনলেই কেউ হেসে উড়িয়ে দেন, কেউ বা ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তবে এবার এই নারী এমন একটি আশ্চর্য দাবি করেছেন যা সত্যিকারের অর্থে বিশ্বাস করার মতো না।

এই নারীর দাবি, তিনি ২০টি প্রেতাত্মার সঙ্গে মিলিত হয়েছেন। অশরীরীদের সঙ্গে শরীরী মিলন সম্ভব কি না, সে নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে। কিন্তু তাঁর নিজের বক্তব্যে অনড় যুক্তরাজ্যের অ্যামেথিস্ট রেল্‌ম।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘নিউজ মেল’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ২৭ বছর বয়সি অ্যামেথিস্ট পেশায় স্পিরিচুয়াল গাইডেন্স কাউন্সেলর। পেশাগত কারণেই ভৌতিক জগতের সঙ্গে তাঁর নাকি ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ। ১২ বছর আগে তাঁর তৎকালীন প্রেমিক এক নতুন বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। সেখানে তিনি প্রথম অশরীরীর অস্তিত্ব টের পান। 

প্রথমে তা ছিল একান্ত ভাবেই আবছায়া অনুভূতি। কোনও অদৃশ্য শক্তির উপস্থিতি তিনি টের পেতেন। কিন্তু ক্রমে তা শরীরী হয়ে ওঠে। তিনি তাঁর উরুর উপরে চাপ অনুভব করতেন, সেই সঙ্গে ঘাড়ের কাছে কারোর নিঃশ্বাস পড়ছে টের পেতেন। 

ক্রমে সেই অশরীরীর সঙ্গে তাঁর শরীরী সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অ্যামেথিস্টের ভাষায়, অবর্ণনীয় আনন্দ সেই মিলনে। তিন বছর সেই সম্পর্ক টিকেছিল। কিন্তু তাঁর প্রেমিক একদিন তাঁকে ভূতের সঙ্গে মিলিত অবস্থায় দেখে ফেলেন। তার পরে সেই ভূত আর ফিরে আসেনি। 

মানুষ প্রেমিকের সঙ্গ থেকে বেরিয়ে আসেন অ্যামেথিস্ট। একের পরে এক প্রেতাত্মার সঙ্গে চলতে থাকে তাঁর প্রেম। সেই সব শরীরী ভৌতিক প্রেম তাঁকে অন্য এক জগতের সন্ধান দিয়েছে বলেই তিনি মনে করেন।

একে একে ২০টি প্রেতের শয্যাসঙ্গিনী হয়েছেন তিনি। অ্যামেথিস্ট আরও জানান, কোনও ভূতের দৌলতেই গর্ভবতী হতে চান তিনি। 

অ্যামেথিস্টের দাবির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বেশির ভাগ মানুষ। কিন্তু তাতে অ্যামেথিস্টের কিছু যায় বা আসে বলে মনে হয় না। তিনি ভৌতিক প্রেমিকদের নিয়ে সুখেই আছেন বলে জানান।

বিডি২৪লাইভ/এআইআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: