কেরানি থেকে কোটিপতি সুলতান!
কেরানি থেকে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক সুলতান আহম্মেদ। সাভার তিতাস গ্যাসের সামান্য কয়েক বছরের ব্যবধানে পেয়েছেন বেশ কয়েকটি প্রমোশন। ব্যবহার করেন বিলাসবহুল গাড়ি। তবুও প্রমোশনে একধাপ এগিয়ে যেতে তদবির করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে গড়ে তুলেছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়। তার বিরুদ্ধে রয়েছে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ। এমন অবস্থায় নড়েচড়ে বসেছে সংশ্লিষ্ঠ দপ্তর।
সাভার অঞ্চলের বিপণন বিভাগের ব্যবস্থাপকের কার্যালয় সূত্র থেকে জানা যায়, সাভার উপজেলায় বাসাবাড়িতে সংযোগ নেয়া গ্রাহকের সংখ্যা ৩৫ হাজারের বেশি। এসব গ্রাহককে ৮৪ হাজার চুলা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আর শিল্প-কারখানায় সংযোগ রয়েছে ৭০০ বেশি। ২০১০ সালের জুলাই মাসের আগে এসব সংযোগ দেওয়া হয়। ওই বছরের ১৩ জুলাই থেকে নতুন সংযোগ প্রদান বন্ধ রয়েছে।
কিন্তু সরকারি এই সিদ্ধান্তের পরও তিতাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ দিলেই পাওয়া যায় সংযোগ। মেলে অনুমোদনের অতিরিক্ত চুলা জ্বালানোর অনুমতি।
তিতাস গ্যাস সাভার অঞ্চলের টিসিসি (টাইপিস্ট কাম ক্লার্ক) থাকাকালিন সুলতান আহাম্মেদ বিপণন বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. আবদুল ওয়াহাব তালুকদারের একান্ত সহকারীর (পিএস) দায়িত্বে থাকা অবস্থায় অবৈধ লেনদেনের বিনিময়ে সাভারের গেন্ডা এলাকায় বিলাসবহুল একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন।
সবুজবাগ এলাকায় তার রয়েছে আরও একটি টিনসেড বাড়ি। সেটি তিনি ভাড়া দিয়েছে। সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের দুটি মার্কেটে রয়েছে তার দুটি দোকান। তার দুটি গাড়িও রয়েছে। একটিতে তার ছেলে-মেয়ারা আর অন্যটিতে সে নিজে চলাচল করেন। এছাড়া নামে বেনামে আরও কয়েকটি প্লট রয়েছে, রয়েছে ব্যাংক ব্যালেন্সও। তার দেশের বাড়ি জয়পুরহাটে রয়েছে বিঘায় বিঘায় সম্পত্তি।
অভিযোগ উঠেছে, হেমায়েতপুর এলাকার জামাল ক্লিনিকে গ্যাস সংযোগ দেয়ার কথা বলে প্রায় ২ বছর আগে ১ লাখ টাকা নিলেও পরে আর সংযোগ দিতে পারেনি। কিন্তু তিনি সেই ১ লাখ টাকা অদ্যবধি ফেরত দেননি এমন অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিতাসের এক কর্মচারী জানান, টিসিসি থাকাকালীন সুলতান আহম্মেদ মোটা অংকের টাকা নিয়ে এক গ্রাহকের নাম পরিবর্তনের জন্য ভূয়া লোককে মালিক সাজিয়ে আবেদন করেন। তখন প্রকৃত মালিক বিষয়টি জানতে পেয়ে সুলতানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে বিষয়টি সামনে আসে। সে যাত্রায় তিনি দেনদরবার করে বিষয়টি ধামাচাপা দেন।
বড় কর্তাদের সাথে অর্থনৈতিক যোগাযোগ থাকায় দ্রুতই প্রমোশন পেয়ে সহ ব্যবস্থাপক হন সুলতান আহম্মেদ। আর এখন তিনি একাই একশো। দু হাতে অবৈধ পন্থায় কামিয়ে নিচ্ছেন টাকা।
আাবাসিক গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকলেও মোটা অংকের টাকা নিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে সুলতান আহাম্মেদ দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার কথা অস্বীকার করলেও বাড়ি-গাড়ির কথা স্বীকার করেছেন।
প্রসঙ্গত, দৈনিক সাভারের কোনো না কোনো এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। তবুও থেকে নেই অবৈধ সংযোগ। সুলতান আহাম্মেদের মতো তিতাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাযোসে দেয়া হচ্ছে রাতের আধারে অবৈধ গ্যাস সংযোগ।
বিডি২৪লাইভ/এসএ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: