জয়ী প্রার্থীদের শপথ নেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানালেন খালেদা
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানিতে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয়েছিল কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। পুরান ঢাকার আলিয়া মাদরাসা মাঠে অবস্থিত ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ সৈয়দ দিলজার হোসেনের আদালতে ১২টা ৪০ মিনিটে বেগম খালেদা জিয়াকে উপস্থিত করা হয়।
সকাল থেকে পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে স্থাপিত আদালত ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক প্রহরা। আশপাশের রাস্তায় অবস্থান নেন পুলিশ বাহিনীর সদস্য, মোড়ে মোড়ে রাখা হয় পুলিশের বিশেষ গাড়ি।
কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে খালেদা জিয়াকে বহনকারী পুলিশের গাড়ি আদালতের সামনে পৌঁছায়। গাড়ি থেকে নামানোর পর আদালতে হুইলচেয়ারে বসে ছিলেন খালেদা জিয়া। আদালতে পুরো সময় নিশ্চুপ ছিলেন বেগম জিয়া। পুরো সময় জুড়েই কোন কথা বলেনি। এদিন তিনি গোলাপী শাড়ি পড়ে হুইল চেয়ারে বসে আদালতে হাজির হন। এ সময় পা থেকে কোমর পর্যন্ত সাদা ওড়না দিয়ে ঢাকা ছিল তার।
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার আসামি খালেদা জিয়া আসার পর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন এজলাসে আসেন। শুরু হয় শুনানি। তখন আদালতে হাজির বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী অ্যানি এগিয়ে যান খালেদা জিয়ার কাছে। দুজন কথা বলেন দুই থেকে তিন মিনিট।
কী বললেন খালেদা জিয়া, জানতে চাইলাম শহীদ উদ্দীন চৌধুরী অ্যানির কাছে। অ্যানি বললেন, ‘ম্যাডাম জানালেন, তাঁর শরীর বেশি ভালো যাচ্ছে না।’ রাজনীতিকেন্দ্রিক কোনো আলোচনা খালেদা জিয়ার সঙ্গে হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
শুনানির শুরুতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার আদালতকে বলেন, ‘মাননীয় আদালত, আমরা এই মামলার জব্দ তালিকার কাগজপত্র এখনো হাতে পাইনি। আদালতে আবেদন করেছি। ওই কাগজপত্র ছাড়া আমরা কীভাবে শুনানি করব।’ আদালত তখন খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের জানিয়ে দেন, শিগগিরই তাঁরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেয়ে যাবেন। শুনানির এই পর্যায়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদিন এগিয়ে যান খালেদা জিয়ার কাছে। এক থেকে দেড় মিনিট তাঁদের কথা হয়।
শুনানি চলার একপর্যায়ে খালেদা জিয়ার কাছে যান এ মামলার আসামি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। দু-এক মিনিট খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলার পর আবার তিনি তাঁর আসনে গিয়ে বসেন। এরপর খালেদা জিয়ার কাছে যান স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ও মামলার আসামি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
খালেদা জিয়া আজ যাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাঁদের মধ্যে সব থেকে বেশি সময় ধরে (৯ মিনিট) কথা বলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে। এক ঘণ্টার বেশি সময় আদালতে অবস্থান করা খালেদা জিয়া বেশির ভাগ সময় চুপচাপ ছিলেন। তিন কেন্দ্রীয় নেতা ছাড়াও কথা বলেছেন পাঁচজন আইনজীবীর সঙ্গে।
বিএনপির নির্বাচিত সাংসদেরা শপথ নেবেন কি না, এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আদালত চত্বরে খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, ‘এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে চান না।’
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন এমন কয়েকজন নেতার ভাষ্য, বিএনপির নির্বাচিত সাংসদেরা শপথ নিক, তা চান না খালেদা। দল গোছানোর দিকে মনোযোগ দিতে বলেছেন নেতাদের।
বেলা দুইটার কিছুক্ষণ পর বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ঠিক করে এজলাস ত্যাগ করেন। এরপর খালেদা জিয়াকে ঘিরে রাখেন পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। কালো রঙের পুলিশের একটি গাড়িতে করে খালেদা জিয়াকে কারাগারে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। যাওয়ার আগে খালেদা জিয়া গাড়িতে থেকে আদালতের সামনে দাঁড়ানো বিএনপির নেতা শহীদ উদ্দীন চৌধুরীসহ অন্যদের হাত নেড়ে বিদায় জানান।
বিডি২৪লাইভ/এআইআর
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: