‘তলে তলে বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে আ’লীগের লোকজন’

প্রকাশিত: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৮:৪২ পিএম

দীর্ঘদিন ধরে বিএনপিকে উপদেশ দেওয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে তাদের উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।

রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রতিনিয়ত বিএনপিকে উপদেশ দিচ্ছেন। সভা-সমিতি, মঞ্চ, গণমাধ্যম ও ব্রিফিংয়ে বিএনপির কী করা উচিত, বিএনপির পরিণতি কী হবে, বিএনপি নির্বাচন ভীতিতে ভুগছে, বিএনপি সংসদে যোগ দেবে ইত্যাদির নানা কথার খই ফোটাচ্ছেন প্রতিদিন। সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী হিসেবে ওবায়দুল কাদের সাহেব শালীনতা, ভব্যতার গুনমান বিবেচনা না করে বিএনপির বিরুদ্ধে ক্রমাগত উপদেশের ভাঙা টেপ রেকর্ড বাজিয়েই চলেছেন। মিডনাইট ইলেকশনের সরকারের মন্ত্রী হিসেবে ওবায়দুল কাদের সাহেব স্বেচ্ছায় বিএনপির উপদেষ্টা হতে চলেছেন। সুতরাং খামোখা আওয়ামী লীগে থেকে তার লাভ কী, বরং ওবায়দুল কাদের সাহেবকে বিএনপিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির দরজা খোলা আছে। এমনিতেই অনাচারের পাহাড়সম স্তুপে আওয়ামী নেতাকর্মীরা ভীতসন্ত্রস্ত। কখন কী হয় আতঙ্কে তাদের সারা দিন কাটে। বিভিন্ন এলাকায় তারা তলে তলে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রাখা শুরু করেছেন। নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আওয়ামী নেতাকর্মীরা আসলেই উদ্বিগ্ন। ক্ষমতার বৃক্ষ উপড়ে যাওয়ার পর অনাগত ভবিষ্যৎ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা গভীর দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সে জন্য স্বেচ্ছায় বিএনপিতে উপদেষ্টার আসনে বসতে যাচ্ছেন ওবায়দুল কাদের সাহেবসহ অন্য নেতারা।’

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করেন করে রিজভী বলেন, ‘বিএনপি সংসদে না গেলেও প্রতিনিয়ত বিএনপি ও জিয়া পরিবারকে নিয়ে সংসদে বিষোদগার করছেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধী দলকে কারাগারে ঢুকিয়ে নির্বাচনী ময়দান শূন্য করার পর বিজয় তো প্রত্যাশিত হবেই।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘পথের কাঁটা সরানোর জন্য খালেদা জিয়ার মতো বিপুল জনপ্রিয় একজন জাতীয় নেত্রীকে এক বছর ধরে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। দাগি খুনিদের মুক্তি দিয়ে নির্দোষ ব্যক্তি জাহালমকে তারা জেল খাটায়। দেশব্যাপী গণতন্ত্র এখন হাহাকার করছে।’

এ সময় শুক্রবার বেলা আড়াইটায় ঢাকার রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের বাংলাদেশ মিলনায়তনে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সারা দেশে বিএনপির বন্দী নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণ দেন রিজভী।

এছাড়া ৯ ফেব্রুয়ারি একই দাবিতে ঢাকা মহানগর বাদে দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা দেন তিনি।

বিডি২৪লাইভ/আরআই

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: