ভয় দেখিয়ে তরুণীকে একাধিকবার গণধর্ষণ! এরপর...

প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০২:৩০ পিএম

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় দুই পুলিশ সদ্যসর বিরুদ্ধে এক তরুণী গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন- সাটুরিয়া থানার এসআই সেকেন্দার হোসেন ও এএসআই মাজহারুল ইসলাম। তবে তারা ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মানিকগঞ্জ জেলার এসপি রিফাত রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওই তরুণী মানিকগঞ্জ এসপির কাছে লিখিত অভিযোগে বলেন, তার এক খালা সাটুরিয়া থানার এসআই সেকেন্দারের কাছে প্রায় তিন লাখ টাকা পাবেন। পাওনা টাকা আদায়ে বুধবার বিকেলে খালা তাকে নিয়ে সাটুরিয়া থানায় যান। এ সময় এসআই সেকেন্দার দুজনকে নিয়ে থানা সংলগ্ন সাটুরিয়া ডাকবাংলোতে যান। কিছুক্ষণ পর সেখানে থানার এএসআই মাজহারুল ইসলামও হাজির হন। ওই তরুণী ও তার খালাকে আলাদা রুমে আটকে রাখেন তারা। এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা তরুণীটিকে ইয়াবা সেবন করিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।

দুইদিন পর শুক্রবার সকালে ধর্ষণের শিকার তরুণী ও তার খালার হাতে ৫ হাজার টাকা তুলে দিয়ে সেকেন্দার তাদের সাটুরিয়া এলাকা থেকে চলে যেতে বলেন। ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে তাকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখান বলেও লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

পরে ওই তরুণী সাভারে ফিরে এক পরিচিত সাংবাদিকের কাছে ঘটনা জানান। সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে মৌখিকভাবে ধর্ষণের ঘটনা জানার পর মানিকগঞ্জ এসপি শনিবার রাতেই অভিযুক্ত এসআই সেকেন্দার ও মাহারুলকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।

সাটুরিয়া থানার ওসি আমিনুর ইসলাম বলেন, শনিবার রাতে এসপির নির্দেশে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাটুরিয়া থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে।

অভিযুক্ত এসআই সেকেন্দার হোসেনে বলেন, আশুলিয়ার রহিমা বেগম তার কাছে পাওনা টাকার জন্য সাটুরিয়ায় এসেছিলেন। রহিমাকে কিছু টাকাও তিনি দিয়েছেন। তবে তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।

প্রত্যাহারের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি কিছুই জানি না।

মানিকগঞ্জের এসপি রিফাত রহমান শামিম রোববার রাতে বলেন, এ ঘটনায় মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলকে প্রধান করে একটি তদন্ত টিম করা হয়েছে। ঘটনা প্রমাণিত হলে তাদের বিভাগীয় আইনের আওতায় আনা হবে।

বিডি২৪লাইভ/এআইআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: