শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় ইডেনের সাবেক অধ্যক্ষকে
ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী পারভীনকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন লাশের ময়মনাতদন্তকারী চিকিৎসক।
সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মাহফুজা চৌধুরীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তাকে মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আমরা দেখতে পাই, মৃত নারীর ঠোঁটে, মুখে, আঙুলে ধস্তাধস্তির চিহ্ন পাওয়া গেছে। একটা আঙুল ভাঙা ছিল।’
‘এই হত্যাকাণ্ড একজনের পক্ষে সম্ভব না। একাধিক ব্যক্তি এই এর সঙ্গে জড়িত,’ যোগ করেন তিনি।
পুলিশের ধারণা বাসার দুই গৃহকর্মী এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। ঘটনার পর থেকে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
খুনের ঘটনায় দুই গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে মাহফুজা চৌধুরী পারভীনের স্বামী ইসমত কাদির গামা রাজধানীর নিউ মার্কেট থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
দুই গৃহকর্মী হলেন- স্বপ্না ও রেশমা। স্বপ্নার বয়স আনুমানিক ৩৬, রেশমার বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। স্বপ্নার বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও রেশমার বাড়ি কিশোরগঞ্জে। ঘটনার পর থেকেই তারা পলাতক রয়েছেন।
নিউ মার্কেট থানা পুলিশ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, ওই বাড়িতে তিনজন গৃহকর্মী ছিলেন। তাদের মধ্যে তৃতীয়জন একজন বয়স্ক নারী। খুনের ঘটনায় তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার গণমাধ্যমকে জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, গৃহকর্মী রেশমা ও স্বপ্না এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। হত্যার পর ওই বাসা থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা-পয়সা লুট করে নিয়ে গেছে তারা। বাড়িটির নিচতলায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, বিকেল ৫টা ৬ মিনিটে দুই গৃহকর্মী লিফট থেকে নেমে বেরিয়ে যাচ্ছে।
মাহফুজা চৌধুরীর স্বামী ইসমত কাদির জানান, এলিফ্যান্ট রোডের সুকন্যা টাওয়ারের ১৫ ও ১৬ তলার ডুপেক্স ফ্ল্যাটে স্ত্রীকে নিয়ে তিনি থাকতেন। তাদের দুই ছেলে দেশের বাইরে থাকেন। রোববার সকাল ১০টার দিকে তিনি ব্যক্তিগত কাজে বাইরে যান। ওই সময় বাসায় রেশমা ও স্বপ্নাসহ তিনজন গৃহকর্মী ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাসায় ফিরে ১৬ তলার কলিং বেল চাপলেও কেউ দরজা খুলছিল না। পরে ১৫ তলার কলিং বেল চাপলে বৃদ্ধা গৃহকর্মী দরজা খোলেন। তখন তিনি ১৬ তলায় গিয়ে দেখেন খাটের ওপর মাহফুজার নিথর দেহ পড়ে আছে। লাশ কম্বল দিয়ে ঢাকা ছিল। পাশেই পড়ে ছিল বালিশ।
স্বজনরা জানান, গত মাসেই স্বপ্না ও রেশমা নামে দুইজন গৃহকর্মী এই বাসায় কাজে যোগ দেয়। স্বপ্নার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনায় আর রেশমার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারি। ঘটনার পর থেকে তারা দুজন পলাতক রয়েছে।
উল্লেখ্য, রবিবার রাতে ঢাকা কলেজের সামনের বহুতল ভবন ‘সুকন্যা টাওয়ার’ থেকে মাহফুজা চৌধুরী পারভীনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর তার বাসার দুই গৃহকর্মী পালিয়ে যায়।
বিডি২৪লাইভ/এইচকে
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: