মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ৪৯ জন, জমা দেয়নি বিএনপি

প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৫:৫৮ পিএম

একাদশ সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে বিএনপি ছাড়া সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র সাংসদের জোটের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরে ৪৩ জনের মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এছাড়াও জাতীয় পার্টির ৪ জন, ওয়াকার্স পার্টির একজন, স্বতন্ত্র একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা ইসির যুগ্মসচিব আবুল কাসেমের কাছে নোনয়পত্র জমা দেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমার সময় নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, ৫০টি সংরক্ষিত আসনের মধ্যে বিএনপির কেউ শপথ না নেওয়ায় তাদের একটি আসন স্থগিত রয়েছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মঙ্গলবার এসব মনোনয়নপত্র যাছাই-বাছাই করা হবে। ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রত্যাহারের শেষ দিন রয়েছে।

একক প্রার্থী থাকায় তাদের আগামী শনিবারই তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নাম ঘোষনা করা হবে। সংরক্ষিত নারী আসনে ভোট ৪ মার্চ থাকলেও আসন সংখ্যার সমান প্রার্থী হওয়ায় ভোটাভুটির প্রয়োজন হবে না।

আওয়ামী লীগের ৪৩ জন: ঢাকা থেকে শিরীন আহমেদ, জিন্নাতুল বাকিয়া, শবনম জাহান শিলা, সূবর্ণা মোস্তফা ও নাহিদ ইজহার খান; চট্টগ্রাম থেকে খাদিজাতুল আনোয়ার ও ওয়াশিকা আয়েশা খানম; কক্সবাজার থেকে কানিজ ফাতেমা আহমেদ, খাগড়াছড়ি থেকে বাসন্তী চাকমা, কুমিল্লা থেকে আঞ্জুম সুলতানা ও আরমা দত্ত; বাহ্মণবাড়িয়া থেকে উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, গাজীপুর থেকে শামসুন্নাহার ভূঁইয়া ও রুমানা আলী; বরগুনা থেকে সুলতানা নাদিরা, জামালপুর থেকে মিসেস হোসনে আরা, নেত্রকোণা থেকে হাবিবা রহমান খান (শেফালী) ও জাকিয়া পারভীন খানম; পিরোজপুর থেকে শেখ এ্যানী রহমান, টাঙ্গাইল থেকে অপরাজিতা হক, সুনামগঞ্জ থেকে শামীমা আক্তার খানম, মুন্সিগঞ্জ থেকে ফজিলাতুন নেসা, নীলফামারী থেকে রাবেয়া আলীম, নংরসিদী থেকে তামান্না নুসরাত বুবলী, গোপালগঞ্জ থেকে নার্গিস রহমান, ময়মনসিংহ থেকে মনিরা সুলতানা, ঝিনাইদহ থেকে খালেদা খানম, বরিশাল থেকে সৈয়দা রুবিনা মিরা, পটুয়াখালী থেকে কাজী কানিজ সুলতানা, খুলনা থেকে অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, টাঙ্গাইল থেকে খন্দকার মমতা হেনা লাভলী, দিনাজপুর থেকে জাকিয়া তাবাসসুম, নোয়াখালী থেকে ফরিদা খানম (সাকী), ফরিদপুর থেকে রুশেমা বেগম, কুষ্টিয়া থেকে সৈয়দা রাশেদা বেগম, মৌলভীবাজার থেকে সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, রাজশাহী থেকে আদিবা আনজুম মিতা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ফেরদৌসী ইসলাম জেসী, শরিয়তপুর থেকে পারভীন হক সিকদার, রাজবাড়ী থেকে খোদেজা নাসরীন আক্তার হোসেন, মাদারীপুর থেকে তাহমিনা বেগম, পাবনা থেকে নাদিয়া ইয়াসমিন জলি ও নাটোর থেকে রত্না আহমেদ।

জাতীয় পার্টির ৪ জন: জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপিকা মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী, এডভোকেট সালমা ইসলাম, চেয়ারম্যান এর উপদেষ্টা অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান ও নাজমা আকতার। জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে দলটি মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা তাদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেন।

ওয়ার্কার্স পার্টি ও স্বতন্ত্রের একটি করে: ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী লুৎফুন নেসা খান। তিনি দলটির সভাপতি সাংসদ রাশেদ খান মেননের স্ত্রী। স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিনা ইসলাম মনোনয়নপত্র জমা দেন। তিনি স্বতন্ত্র সাংসদ লক্ষ্মীপুর-২ আসনের মোহাম্মদ শহিদ ইসলামের স্ত্রী।

বিডি২৪লাইভ/এএইচ/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: