হুমায়ুন ফরীদির শূন্যতা অপূরণীয়

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:০১ পিএম

কীর্তিমানের মৃত্যু নেই। শুধুমাত্র শরীর সমাধী ঘটে। কর্ম তাদের বাঁচিয়ে রাখে অনন্তকাল। তেমনি একজন কীর্তিধন্য অভিনেতা প্রয়াত হুমায়ুন ফরীদি। যার নাম শুনলেই অভিনয়ের দোয়ার খুলে যায় চোখের সামনে। আজ (১৩ ফেব্রুয়ারি) এই কীর্তিমানের চলে যাওয়ার ৭ বছর।

সর্বমহলের প্রিয় অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি চলে গেছেন চেনা, অজানা জগতে। যিনি দীর্ঘদিন ধরে অভিনয়শৈলী প্রদর্শন করে পর্দায় আবিষ্ট করে রেখেছিলেন কোটি কোটি দর্শককে। ফরীদি একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তাকে অনুকরণ করে আনন্দ পাওয়া যেত। একজন মানুষ কতটা উচ্চমানের অভিনেতা হলে তাকে অনুসরণ করা যায়- ফরীদি ওই উচ্চতার অভিনেতা ছিলেন। যতদিন পর্দায় তার অভিনীত চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে, ততদিন দর্শক তাকে মনে রাখবে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম মনে রাখবে তার সৃষ্টিকে।

হুমায়ুন ফরীদির চলে যাওয়ার সাত বছরে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন স্টাফ করেসপন্ডেন্ট আরেফিন সোহাগ।

প্রখ্যাত নাট্যকার অধ্যাপক ড. ইনামুল হক হুমায়ুন ফরীদি স্বরণে বিডি২৪লাইভকে বলেন, ‘ফরীদি আমার প্রিয় একজন অভিনেতা ছিলেন। সেই সাথে আমার প্রিয় একজন মানুষও ছিলেন। সে নিজেকে বিভিন্ন চরিত্রে মানিয়ে নিতে পারতো। খুব কঠিন কঠিন চরিত্রে খুব সহজে অভিনয় করেছে। আমার লেখা নাটকে ফরীদি যখন অভিনয় করলো তখন খুব সাড়া পেয়েছিলো। আমাদের দেখা হলে দুজন দুজনকে বুকে জড়িয়ে ধরে রাখতাম। আর আমাদের দুজনের জন্ম তারিখ এক ছিল। এই খ্যাতিমান অভিনেতার অকাল চলে যাওয়া মেনে নিতে কষ্ট হয়।’

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, ‘হুমায়ুন ফরীদির চলে যাওয়ার সাত বছরে এমন অভিনেতা আসে নি বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে। আমার সাথে তার খুব ভালো আন্তরিকতা ছিল। উনি মন প্রাণ দিয়ে অভিনয় করতেন। কাজকে সব সময় আপন করে নিতেন। পরিচালকের নির্দেশ মতই কাজ করতেন। অভিনয়ে কোন ধরণের ক্লান্তিতা ছিল না তার মধ্যে। তার অকাল চলে যাওয়াতে খুব ক্ষতি হয়ে গেছে চলচ্চিত্রে।’

অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস বলেন, ‘উনি (হুমায়ুন ফরীদি) একজন শিক্ষিত অভিনেতা ছিলেন। উনি অভিনেতা হয়ে জন্মেছিলেন। আমার বাবার পরে যদি আমি কাউকে যায়গা দিয়ে থাকি, সেটা হুমায়ুন ফরীদি। উনার কাছে আমার অভিমান আছে অনেক। উনি আমাদের মাঝে আরো সময় থাকতে পারতেন। উনার থেকে অনেক কিছু শেখার ছিল আমাদের। উনার এই ভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারি নাই।’

অভিনেত্রী নূতন বলেন, ‘উনি একজন বড় মাপের অভিনেতা, একজন বড় মাপের শিল্পী ছিলেন। হুমায়ুন ফরীদির সাথে আমার নাটক থেকে পরিচয়। পরে আমরা সিনেমায় কাজ করেছি। একজন সুন্দর মনের মানুষ ছিলেন তিনি। মিষ্টি হাসি দিয়ে কথা বলতেন। সবাইকে আপন করে নিতেন। তার গুনের কথা বলে শেষ করা যাবে না। উনার অভিনয় আমি আজও কারো মাঝে দেখি নি। জানিনা আগামীতে কারো মাঝে হুমায়ন ফরীদির অভিনয় দেখতে পাবো কিনা। সত্যি আমরা একজন অবিভাবক হারিয়েছি।’

বিডি২৪লাইভ/এএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: