‘বসন্তকে বাঁচাতে বৈশ্বিক উষ্ণায়ণ মোকাবেলা করতে হবে’

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৬:৩৮ পিএম

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেছেন, ‘একুশ শতকের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো বৈশ্বিক উষ্ণায়ণ। এটা মোকাবেলা না করতে পারলে আমাদের ঋতুরাজ বসন্ত হারিয়ে যাবে। তাই বসন্তকে বাঁচাতে হলে আমাদের বৈশ্বিক উষ্ণায়ণ মোকাবেলা করতে হবে।’

বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের আয়োজনে বাংলা মঞ্চে অনুষ্ঠিত বাসন্তী উৎসবের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, ‘দেশের ছয় ঋতুর রূপ, রস এবং গন্ধ আমাদের পূর্বসূরীরা উপভোগ করেছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বর্তমানে একুশ শতকের পৃথিবীতে আমাদের সন্তানেরা ঋতুর এই স্বাদ পায়না।’

এসময় তিনি বলেন, প্রকৃতি যদি কাউকে মোহিত ও প্রাণীত করতে না পারে, তাহলে সে কখনো বড় লেখক বা সাহিত্যক হয়ে উঠতে পারে না। কারণ কংক্রিটের জঙ্গলে বসে হয়তোবা জীবনকে উপভোগ করা যায়, কিন্তু জীবনের প্রকৃত অর্থ বোঝা যায় না।

এসময় বৈশ্বিক উষ্ণায়ণ মোকাবেলায় সকলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমরা বসন্ত উৎসব পালন করি কিন্তু উৎসব পালনের পাশাপাশি বসন্তের যে প্রকৃতি, এটি যাতে বিপন্ন না হয়ে না যায় সে বিষয়ে আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং কিছু কর্তব্য কর্মের আবশ্যকতা রয়েছে।’

বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম শাহিনুর রহমান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচর্য বলেন, ‘আমাদের যতগুলো ঋতু আছে তার মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর, মানুষের জন্য বন্ধু পরায়ন এবং অত্যন্ত আনন্দের ঋতু হচ্ছে বসন্ত। বসন্ত সুবাতাস দেয়, মানুষকে আনন্দ দেয়, মানুষের কষ্টকে নিঃশ্বেষ করে দেয় এবং মানুষের জীবন ফুলে-ফলে সুশোভিত করে তোলে।’

এসময় তিনি বসন্তের মধ্যদিয়ে যেন আমাদের বাঙালিয়ানা ও সেই বাঙালিয়ানায় নিজেদেরকে গড়ে তুলতে পারি এবং নিজেদেরকে আত্মপ্রকাশ করতে পারি সে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিভাগের অধ্যাপক ড. সরওয়ার মুর্শেদ, অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন প্রমুখ।

এর আগে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে থেকে বাঙালির ঐতিহ্য হলুদ শাড়ি এবং পাঞ্জাবী পরে বর্ণাঢ্য বাসন্তী শোভাযাত্রায় অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে অনুষদ ভবনের পাশে অবস্থিত বাংলা মঞ্চে গিয়ে শেষ।

পরে দুপুর দেড়টার দিকে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী অনি আতিকুর রহমান এবং ইতির যৌথ সঞ্চালনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সরওয়ার মোর্শেদ রতন, অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম ও সহযোগী অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল, ইয়াসমিন আরা সাথি স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন।

এরপর বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে নাটক, গান, কবিতা আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশিত হয়।

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: