রাতেই চালু হচ্ছে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর রাতেই সেবা চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ১০টায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
এসময় তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল রাতেই চালু করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হাসপাতালের ১২নং ওয়ার্ডসহ ক্ষতিগ্রস্ত ওয়ার্ড বাদ দিয়ে বাকিগুলো রাতেই চালু হবে। হাসপাতাল চালু রাখার স্বার্থে সকল চিকিৎসক, নার্সদের চলে আসতে বলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সোহরাওয়ার্দী থেকে স্থানান্তর হওয়া রোগীরা আসতে চাইলে বাধার শিকার হবেন না, তারা আসতে পারবেন। হাসপাতালের ইমার্জেন্সি ওয়ার্ড চালু আছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনাম, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, হাসপাতাল পরিচালক উত্তম কুমার, কলেজ প্রিন্সিপাল, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবসহ চিকিৎসক ও নার্সরা।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিটে প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। হাসপাতালের আইসিইউসহ সব ওয়ার্ডের রোগীদের নিরাপদে সরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের দল আগুন পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুন লেগেছিল নিচতলার স্টোর রুমে। সেখান থেকে আশেপাশের ১০ থেকে ১২টি কক্ষে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং ধোঁয়া ২-৩ তলা পর্যন্ত উঠে যায়।
আলী আহাম্মেদ বলেন, আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল হাসপাতালের আইসিও ও মুমূর্ষু রোগীদের দ্রুত নিরাপদে সরিয়ে নেয়া। হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃপক্ষের সহায়তায় আমরা তা করতে পেরেছি। এরপর আগুনের ভয়াবহতা ও গুরুত্ব বিবেচনায় অন্যান্য রোগীদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে হাসপাতালে কোনো রোগী নেই, সকল রোগীকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া আগুনের কারণে বা উদ্ধার কাজে রোগী বা স্বজনদের কেউ আহত বা হতাহত হননি।
আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা এখনও আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে স্পষ্ট নই, বিষয়টি তদন্তাধীন। স্টোর রুমে প্রচুর ওষুধ ও দাহ্য পদার্থ ছিল। যার ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে সময় লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে সোহরাওয়ার্দীর নতুন ভবনের নিচতলার স্টোররুম থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এরপর একে একে ১৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
আগুন লাগার পরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মিলে রোগীদের দ্রুত সরিয়ে নেয়। অনেক রোগী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালসহ পাশের জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে গিয়ে আশ্রয় নেয়। বেশকিছু রোগীতে তাৎক্ষণিক পাশের মাঠে রাখা হয়েছে।
বিডি২৪লাইভ/এআইআর
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: