৯৯৯-এ কল, রক্ষা পেল সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ১২০০ রোগী

প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০২:২০ পিএম

৯৯৯ জরুরি কল আর আর সর্বস্তরের মানুষের আন্তরিক উদ্ধার তৎপরতায় রক্ষা পেলো আগুন লাগা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রায় ১২০০ রোগীর প্রাণ।

বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টা দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের স্টোর-রুম থেকে লাগা আগুণ তৃতীয় তলার শিশু ওয়ার্ড পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্ক গ্রাস করে চিকিৎসাধীন ১২০০ রোগীসহ চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্মীদের। হাসপাতালের একজন গাড়ি চালক জাতীয় জরুরি হটলাইন ৯৯৯ এ কল করে সাহায্য চাওয়ার পর পাল্টে যায় পুরো দৃশ্যপট।

সেই ড্রাইভার বলেন, ৯৯৯ এ ফোন দিয়েছি। পরে আমি জানাই হাসপাতালে আগুন লেগেছে। আপনারা যত জলদি এখানে ফায়ার সার্ভিস পাঠান এবং এখানে কিছু অ্যাম্বুলেন্সও লাগবে।

তবে, তার আগে উদ্ধার তৎপরতায় হাত লাগান সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও পাশের শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

৯৯৯ এ ফোনে সাড়া দিয়ে হাজির হন র‍্যাব, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। শুরুতে পানি স্বল্পতার কারণে নিয়ন্ত্রণের যুদ্ধে বেগ পেতে হলেও পরে ১৬ ইউনিটের সহযোগিতায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।

একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ছাত্র, শিক্ষক ও পুলিশ একত্রিত হয়ে আমরা বাইরে থেকে অ্যাম্বুলেন্স এনে রোগী সরিয়েছি।

আগুন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি চলে রোগী সরানোর কাজ। বিভিন্ন হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সগুলো বিনা পয়সায় করে রোগী নেয়ার কাজ।

তবে মাস খানেক আগে মহড়া হওয়া হাসপাতালের স্টোর-রুমে কিভাবে লাগলো আগুণ তাৎক্ষণিকভাবে উত্তর মেলেনি তার। উত্তরের খোঁজে গঠন করা হয়েছে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি। হাসপাতালটির জরুরি বিভাগ চালু থাকলেও পুরোপুরি চিকিৎসা সেবা চালু হতে ঠিক কত সময় লাগবে তা এখনও বলতে পারছেন না কেউ। রোগী না থাকায় হাসপাতাল ভবন যেন এক পরিত্যক্ত ভবনে পরিণত হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী বলেন, প্রথমে পানি স্বল্পতা ছিল। এছাড়া আগুনের সূত্রপাত শুনেছি স্টোর রুম থেকে হয়েছে। নিচতলা থেকে আগুন উপরের দিকে উঠে যায়।

আগুন লাগার খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

মাত্র কিছুদিন আগে অগ্নি নির্বাপকের মহড়া হওয়া হাসপাতালে আগুন লাগলো কেন? আর কেনই বা তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নেভানো গেল না, প্রশ্ন অনেকের মনেই। এর কারণ জানতে ফায়ার সার্ভিস গঠন করেছে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি।

বিডি২৪লাইভ/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: