সেই বিস্ফোরণে দেহ ছিটকে পড়ে ৮০ মিটার দূরে!

প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৪:২০ পিএম

৬০ কিলোগ্রাম ওজনের অত্যন্ত শক্তিশালী আরডিএক্স বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল পুলওয়ামায়। সিআরপিএফ সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে। বিস্ফোরণের পর তদন্তকারীরা প্রথমে ভেবেছিলেন, সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ‘জইশ-ই-মহম্মদ’-এর আত্মঘাতী বোমা আদিল আহমেদ দার সাড়ে ৩০০ কিলোগ্রাম ওজনের আরডিএক্স বিস্ফোরক নিয়ে সিআরপিএফের বাসে ধাক্কা মেরেছিল। কিন্তু পরে জানা গিয়েছে, আরডিএক্স বিস্ফোরকের পরিমাণ অতটা ছিল না। এ খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।

বৃহস্পতিবার পুলওয়ামার ওই ঘটনায় সিআরপিএফের ৪০ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়। সিআরপিএফ জানিয়েছে, বিস্ফোরণ এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, বিস্ফোরণের ভয়াবহতা এতটাই বেশী ছিল যে, এক জনের দেহ ছিটকে ৮০ মিটার দূরে পড়ে!

তদন্তে জানা গিয়েছে, যে গাড়িতে আরডিএক্স নিয়ে গিয়ে ওই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল, সেটি ‘এসইউভি’ ছিল না। ছিল ‘সেডান’ গাড়ি। ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর আরডিএক্স  ছড়িয়ে পড়েছিল অন্তত ১৫০ মিটার এলাকা জুড়ে।

তবে সরাসরি জওয়ান বোঝাই বাসে ধাক্কা মারেনি ঘাতক। বরং রাস্তার বাঁ দিক ধরে যাওয়া কনভয়ের ৭৮টি বাসের পাশ কাটিয়ে ওই বাসটির কাছে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ভয়াবহতা বাড়াতে বিস্ফোরকে ব্যবহার করা হয়েছিল ‘শেপ্‌ড চার্জ’। যাতে নির্ভুল ভাবে সরাসরি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা যায়। আর বিস্ফোরকের টুকরোগুলি যাতে জওয়ানদের বর্মও ফুঁড়ে দিতে পারে।

বিস্ফোরণে বাসটি টুকরো টুকরো হয়ে যায়। পরিণত হয় কতগুলি ধাতব টুকরোয়। ২২ বছর বয়সী স্কুলছুট আত্মঘাতী বোমা আদিল আহমেদ দার থাকত বিস্ফোরণস্থল থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে। তবে কী ভাবে সে আরডিএক্স পেল, কারাই বা তাকে সাহায্য করল, তা জানা যায়নি। কী ভাবে কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মুড়ে রাখা জাতীয় সড়কে দার ঢুকে পড়তে পেরেছিল, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

বিডি২৪লাইভ/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: